লন্ডন থেকে এলো সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সুখবর—অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ঐতিহাসিক বৈঠক নিয়ে। ১২‑দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এটি দেশের মানুষের জন্য এক স্বস্তির বার্তা, আশার আলো — বিশেষ করে নভেম্বর‑ডিসেম্বরে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা কাটিয়ে। রমজানের আগে ভোট, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন— এ মাইলফলক সিদ্ধান্তই এখন দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে।
ইউনূস-তারেকের বৈঠক স্বস্তির বার্তা, আশার আলো : ১২ দলীয় জোট
গত কয়েক মাস ধরে পড়েছে নির্বাচন ও বিচার/সংস্কারে দ্বন্দ্বের চাপ।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস প্রথমে বলেছিলেন, নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল, যা বিএনপি’র অসন্তোষ তৈরি করে।
জাতীয় রাজনীতির অস্থিরতা কাটাতে ১২‑দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ড. ইউনূস‑তারেক একটি ১:১ বৈঠকের আহ্বান। এভাবেই বাস্তবায়িত হয় লন্ডন সিঞ্চিত আলোচনার প্ল্যান।
রমজানের আগে ভোট: ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে ঐকমত্য, পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হবে
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ: নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়—সর্বোচ্চ ঐকম্যপূর্ণ আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এগিয়ে আসা: সকল প্রস্তুতি টাইমলাইনে পরিপূর্ণ হলে নির্বাচন আয়োজন শিগগিরেই সম্ভব।
নেতারা—জাতীয় পার্টি, এলডিপি, জাতীয় দল, জমিয়াতে উলামা, ইত্যাদির শীর্ষস্থানীরা—বৈঠককে “স্বস্তির বার্তা” ও “আশার আলো” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে
বলা হয়েছে, এটি আসলেই গণতন্ত্রের পথে একটি মাইলফলক ।
ইউনূস-তারেকের বৈঠক স্বস্তির বার্তা, আশার আলো : ১২ দলীয় জোট। পোস্ট-বৈঠক বিবৃতিতে ইউনূস ও তারেকে ধন্যবাদ প্রদান করেছে জোটের নেতৃবৃন্দ।
“গণতন্ত্রে উত্তরণের মাইলফলক” হিসেবে বৈঠককে অভিহিত করেছে জোট।
এটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আর জনগণের প্রতি প্রতিষ্ঠিত প্রতিশ্রুতি রাখার গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।
বলছে, বিচার ও সংস্কারের ওপর গোটা প্রক্রিয়া ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি)– দাবি করে, ভোটের আগে জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার ও বিচার পরিষ্কার হওয়া উচিত।
জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন– তাদের মত, শুধু এক দল নয়, পুরো জাতীয় কিউমিউনিটি আলোচনায় যুক্ত হওয়া উচিৎ ।
এই বিতর্কই বর্তমানে রাজনীতিতে সর্পিল রেখা সৃষ্টি করছে।
পরবর্তীতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা
রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন
বৈঠকে ভোট ফেব্রুয়ারিয়ে আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে ওঠে—যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এপ্রিলের কথা বলা হয়েছিল।
১২‑দলীয় জোটের জ্যেষ্ঠ নেতারা এটিকে “স্বস্তির বার্তা” ও “আশার আলো” হিসেবে অভিহিত করছেন।
জোটের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় যে, এটি গণতন্ত্রের পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ এবং একটি শক্তিশালী সংকেত—“গণতন্ত্রের মাইলফলক” হিসেবে ভাবে মনে করছেন তারা।
সরকারের অন্তর্ভুক্তি, বিচারকেন্দ্রিক সংস্কার, এবং নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা—এসব বিষয়ে “দৃশ্যমান অগ্রগতি” আশা করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টি, এলডিপি, জমিয়াতে উলামা সহ অন্যান্য দল—বৈঠককে “স্বস্তির বার্তা” এবং “আশার আলো” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তারা মনে করেন, নির্বাচনের নতুন সময়সূচি দেশের মানুষের আশা পুনঃস্থাপন করবে।
জোটের বিবৃতিতে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে—“ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ”।
যদিও দলে‑দলে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেল, কিন্তু কিছু দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ও আপত্তি উত্থাপন করা হয়:
এনসিপি – ঘোষণা চায় যে, জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার ও বিচারে দূরদর্শিতাপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তারপর নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হবে।
জামায়াত‑ইসলামী আন্দোলন – তাদের মত, “নির্বাচনের মতো যত বিষয় গুরুত্ব পায় না, বিচার ও সংস্কারের বিষয়ও গুরুত্ব পায় না”।
তারা প্রশ্ন তুলেছে—“সরকার কি শুধু একটি দলের সহযোগিতায় এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?” ।
নির্বাচনের স্পষ্ট সময় সূচি (ফেব্রুয়ারি) নির্ধারিত হলে রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত ও স্থিতিশীল হতে পারে।
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, দৃশ্যমান সংস্কার, বিচার—এই তিনটি ফ্রেমে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভাবনা দাঁড়িয়েছে।
বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারা এই বৈঠককে “গণতন্ত্রের মাইলফলক” হিসেবে বিবেচনা করেন।
ইউনূস-তারেকের বৈঠক স্বস্তির বার্তা, আশার আলো : ১২ দলীয় জোট। লন্ডনের এই ইউনূস‑তারেক বৈঠক পূর্ণ রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ভোট ফেব্রুয়ারি ও গণতন্ত্রের মাইলফলক দিকে প্রবল ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও বিচার ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে, তবু ১২‑দলীয় জোটের নেতারা এটিকে “স্বস্তির বার্তা” ও “আশার আলো” হিসেবে লালন করছেন—যাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হবে।
আগামী কয়েক মাস তাৎপর্যপূর্ণ হবে—নির্বাচন কমিশন নতুন তারিখ ঘোষণা করা, বিচার-সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়া, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়—এসবই হবে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মাইলফলক।