সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ও কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা সৃজনশীল ও নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করেন, যা নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হবে ।
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনিক সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। দুর্নীতি দমন, সেবা সহজীকরণ, এবং সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব ।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
ড. ইউনূস সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।” তিনি দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।
ডিজিটালাইজেশনের ভূমিকা
দুর্নীতি দমনে ডিজিটালাইজেশনের ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত ডিজিটাল ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়।” তিনি বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলে সব সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেন ।
আন্তর্জাতিক সহায়তা ও প্রতিক্রিয়া
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার। প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং সংস্কারে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ড. ইউনূস প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পরিকল্পনাগুলো নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ও কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা দেশের সুশাসন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দুর্নীতি দমন, সেবা সহজীকরণ, এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।