“রাখাইন করিডোর ও জাতীয় ইস্যুতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ”
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখা ২০ মে ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব স. উ. ম. আবদুস সামাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে রাখাইন অঞ্চলে করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনাকে “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মার্কা বিনিয়োগ” হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের করিডোর বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে পরাশক্তিগুলোর যুদ্ধের খেলায় পরিণত করবে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।Wikipedia
সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তারা রাখাইনে করিডোর প্রদান বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সন্দেহজনক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
“রাখাইন করিডোর ও জাতীয় ইস্যুতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ” । সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইউনুস যুক্তিবাদি, কেন্দ্রীয় সহ-প্রকাশনা সচিব মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আবুল মনছুর দৌলতি, আহলে সুন্নাত সাংগঠনিক সচিব ড. ইসমাইল নোমানি এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার যদি করিডোরের নামে রাখাইনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা করে মায়ানমারের সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরাসরি এক বিপজ্জনক যুদ্ধ জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। তারা আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও অর্থনীতিকে জিম্মি করে ফেলছে।
প্রধান অতিথি স. উ. ম. আবদুস সামাদ বলেন, রইস হত্যাকারীদের যদি দ্রুত গ্রেফতার করা না হয়, মাজার ভাঙ্গার প্রতিকারসহ সুফিবাদি জনতার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ যদি বন্ধ না হয় এবং মানবিক করিডোর খোলার সিদ্ধান্ত ও বিতর্কিত নারীনীতি থেকে যদি সরকার সরে না আসে তবে দেশের কোটি কণ্ঠ প্রতিবাদ তুলতে বাধ্য হবে।
“রাখাইন করিডোর ও জাতীয় ইস্যুতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ” । সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস যুক্তিবাদি বলেন, উপরোক্ত জাতীয় ইস্যুগুলো নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তন বুকিং দেয়া হলেও অদৃশ্য অঙ্গুলির ইশারায় ঘন্টাখানেক আগে বুকিং বাতিল করে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে