প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে: সাধারণ পুলিশের হাতে আর কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালায় একটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমকে আরও মানবিক ও জনবান্ধব করা।

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিদ্ধান্তের পটভূমি

২০২৫ সালের ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব-মেশিনগান, ৯ এমএম পিস্তলের মতো মারণাস্ত্র থাকবে না। এই অস্ত্রগুলো শুধুমাত্র আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কাছে থাকবে

 সিদ্ধান্তের মূল দিকনির্দেশনা

  • সাধারণ পুলিশের জন্য মারণাস্ত্র নিষিদ্ধ: পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা মারণাস্ত্রগুলো জমা দিতে হবে। এই অস্ত্রগুলো শুধুমাত্র এপিবিএনের কাছে থাকবে।

  • বিশেষায়িত ইউনিটের জন্য ব্যতিক্রম: এপিবিএনের মতো বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর হাতে মারণাস্ত্র থাকবে, কারণ তাদের কার্যক্রম অন্যান্য পুলিশের থেকে ভিন্ন।

  • কার্যকরকরণ প্রক্রিয়া: এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী

 সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ

এই সিদ্ধান্তের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:

  • জনগণের আস্থা বৃদ্ধি: পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

  • অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঝুঁকি হ্রাস: মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঝুঁকি হ্রাস করা।

  • আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পুলিশ বাহিনী গঠন।

 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এই সিদ্ধান্তের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকার নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:

  • কমিটি গঠন: পুলিশ বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি: পুলিশ সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

  • জনগণের অংশগ্রহণ: জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠন।

  • এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরও মানবিক ও জনবান্ধব করে তুলবে। এই পরিবর্তন সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *