দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্প্রতি দীর্ঘদিন পর বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। রাজনীতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন তার নাম। সাদামাটা জীবনযাপন, সৎ নেতৃত্ব ও ব্যতিক্রমী রসবোধের জন্য জনপ্রিয় এই রাষ্ট্রনায়কের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে প্রতিদিনই।
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
আবদুল হামিদ জন্মগ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায়। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ধাপে ধাপে উঠে আসেন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে।
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৪৪
-
রাজনৈতিক দলে যোগদান: ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে
-
সংসদ সদস্য নির্বাচিত: ১৯৭০ সালে (পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে)
-
স্পিকার: ২০০১-২০০৯ এবং ২০০৯-২০১৩ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার
-
রাষ্ট্রপতি: ২০১৩-২০২৩
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বকালে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৩ সাল থেকে টানা দশ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়কালে তিনি ছিলেন রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার প্রতীক এবং প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে দৃঢ় ছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবদান:
-
জাতির ঐক্য রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা
-
সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক রক্ষায় কূটনৈতিক দক্ষতা
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা
-
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সংবেদনশীল ও রসিক ভাষণ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসা ও বিশ্রামের জন্য বিদেশে ছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সময় কাটিয়ে তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য, সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা।
বিদেশে ছিলেন প্রায় ৩ মাস
সফরের স্থান: সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মাটি, মানুষের ভালোবাসা আমাকে বারবার টানে।”
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আবদুল হামিদের দেশে ফেরাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে হাজারো স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও। অনেকে তাকে অভিহিত করেছেন “জনগণের রাষ্ট্রপতি” নামে।
“আমার দেখা সেরা রাষ্ট্রপতি”—ফেসবুক ব্যবহারকারী
“তিনি ছিলেন সত্যিকারের সাদা মনের মানুষ”—একজন সরকারি কর্মকর্তা
“তার রসবোধ ও সততা আমাদের রাজনীতিতে বিরল”—সাংবাদিকের টুইট
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আবদুল হামিদের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে তার ব্যক্তিত্ব, সততা, রসবোধ এবং জনগণের সাথে আত্মিক সম্পর্ক। তিনি কখনও অতি রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার না করে সাদাসিধে ভাষায় জনগণের সঙ্গে কথা বলতেন।
দলীয় পক্ষপাতহীন ভাষণ
কোনো বিতর্কে না জড়ানো
বঙ্গভবনে সরল জীবনযাপন
চিরাচরিত আনুষ্ঠানিকতা ভেঙে সাধারণের কাছে পৌঁছানো
বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী আবদুল হামিদ রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও দেশের নানা বিষয়ে তার মতামত আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আশা করছেন, ভবিষ্যতে তিনি উপদেষ্টা বা জননেতা হিসেবে কোনো রকম সক্রিয় ভূমিকায় আবারও সামনে আসবেন।
আত্মজীবনী প্রকাশ
শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমুখী ফাউন্ডেশন গঠন
জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ—এই একটি বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে শত শত মানুষের স্মৃতি, অনুভূতি আর শ্রদ্ধা। বাংলাদেশে এমন রাষ্ট্রনেতা বিরল, যিনি নিজের সহজাত জীবনাচরণ, হাস্যরস এবং আন্তরিকতা দিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার ফেরাটা তাই নিছক একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়—এটি যেন এক প্রজন্মের অনুভূতির প্রতিফলন।