চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, যা দেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯২% পরিচালনা করে। এই বন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। কিন্তু যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে।”
অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা
চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং বন্দরের ডিজিটালাইজেশন এর মধ্যে অন্যতম।
আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্য
চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। নেপাল ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে আরও সংযুক্ত করা সম্ভব।
অর্থনৈতিক প্রভাব
দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বন্দর কার্যক্রমের উন্নতির ফলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।