সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, মুজিবনগর সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। এই খবরটি সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে ঘোষণা করেছে।
জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন: প্রেস উইং
প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে, “‘শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল’ বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে- তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।” তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা পরিচালনা করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।” তিনি আরও জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছিল, যা এখন পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে।
জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন: প্রেস উইং। বিভ্রান্তিকর সংবাদের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এটি জাতীয় নেতাদের সম্মানহানির কারণ হতে পারে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারে। সরকার এই ধরনের ভুল সংবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন: প্রেস উইং। জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে। সঠিক তথ্য জানার জন্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংবাদ গ্রহণ করা উচিত।