প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার, আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ অনুমোদন

২০২৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়। সেই সময়ের গণঅভ্যুত্থানে বহু ছাত্র-জনতা আহত হন এবং কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার “গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫” অনুমোদন করেছে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সুবিধা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার, আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ অনুমোদন

এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে:

  1. আর্থিক সহায়তা: প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা এবং আহতদের ১ থেকে ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হবে।

  2. চিকিৎসা সুবিধা: আহতদের দেশে ও বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

  3. পুনর্বাসন: আহতদের জন্য কর্মসংস্থান এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

  4. শিক্ষা সহায়তা: শহীদ পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হবে।

  5. অধিদপ্তর গঠন: “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর” গঠন করা হবে, যা এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কমিটি গঠন ও মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা

এই অধ্যাদেশের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকার পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই মন্ত্রণালয়গুলো হলোগৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

  • বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

  • স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

  • স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

  • মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

আর্থিক বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা

সরকার এই অধ্যাদেশের অধীনে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই অর্থের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র ক্রয়, মাসিক ভাতা প্রদান, চিকিৎসা ব্যয় এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বাস্তবায়নের সময়সূচি

সরকার ঘোষণা করেছে যে, আগামী জুলাই মাস থেকে এই অধ্যাদেশের কার্যক্রম শুরু হবে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

জনমত ও প্রতিক্রিয়া

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার, আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ অনুমোদনএই অধ্যাদেশের ঘোষণা দেশের বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তবে, কিছু মহল থেকে অধ্যাদেশের কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ইতিহাসের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের সময়েও বহু মানুষ শহীদ হন। তবে, এই প্রথম সরকার কোনো গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *