বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ২১ জন নেতাকর্মী, যারা ৫ মে ২০২৫ তারিখে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তারা ১৯ দিনের কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর, দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থকরা জেলগেটে তাদের সংবর্ধনা জানান এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কারামুক্ত ২১ সেনাকর্মীর জেলগেটে সংবর্ধনা: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতীক
ঢাকা মহানগর ছাত্রসেনার সাবেক সভাপতি শহীদ ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিন (রহ.)-এর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ৫ মে ২০২৫ তারিখে একটি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো। তবে, কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটে, যা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তোলে।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালায় এবং শতাধিক সেনাকর্মী আহত হন। এছাড়া, ২৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনাটি সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
১৯ দিন কারাবাসের পর, আদালত ২১ জন সেনাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন। মুক্তির পর, দলীয় নেতৃবৃন্দ জেলগেটে তাদের সংবর্ধনা জানান এবং দলীয় কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ পুলিশের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন। তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের শামিল।