বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্প্রতি করিডোর ইস্যুতে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন: “করিডোর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, হবেও না” । এই বিবৃতি দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে উদ্ভূত উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এসেছে।
করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি, কথা হবেও না : নিরাপত্তা উপদেষ্টা
সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে করিডোর সংক্রান্ত আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই ধরনের করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কৌশলগত দ্বন্দ্বের অংশ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ও রাখাইন রাজ্য সংক্রান্ত আলোচনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যের গুরুত্ব
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার করিডোর ইস্যুতে কোনো ধরনের আলোচনা বা চুক্তিতে অংশগ্রহণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। এই অবস্থান দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।
জনমনে প্রতিক্রিয়া
করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি, কথা হবেও না : নিরাপত্তা উপদেষ্টা।নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যের পর অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে কিছু মহল এখনো আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সরকার এই অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। তাদের মতে, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারকে দৃঢ় অবস্থানে থাকতে হবে।
করিডোর ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন করিডোর ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণ করেছে। কিছু দল সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে, অন্যদিকে কিছু দল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই ধরনের করিডোর দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য হুমকি হতে পারে।
করিডোর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিকভাবে করিডোর ইস্যুতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। কিছু দেশ এই ধরনের করিডোরকে আঞ্চলিক সংযোগ ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, অন্যদিকে কিছু দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।
করিডোর ইস্যুতে ভবিষ্যৎ করণীয়
করিডোর ইস্যুতে সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারকে দৃঢ় অবস্থানে থাকতে হবে। জনগণের উদ্বেগ ও আশঙ্কা দূর করতে সরকারকে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে