অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, চট্টগ্রাম সফরে যাচ্ছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম চট্টগ্রাম সফর, যা তার জন্মভূমি পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
সফরের প্রেক্ষাপট
দীর্ঘ ১৮ বছর পর ড. ইউনূস তার পৈতৃক ভিটা, হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পা রাখবেন। স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই সফর নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। গ্রামজুড়ে চলছে প্রধান উপদেষ্টাকে বরণের প্রস্তুতি, এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ।
সফরের কর্মসূচি
১. চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন
আজ বুধবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এখানে তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন ।
২. কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন ড. ইউনূস। এই সেতু চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রধান উপদেষ্টা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরে নিজের নাম না দিয়ে সাধারণ জনগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন ।
৩. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. ইউনূস। এই সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২,৬০০ শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। ড. ইউনূস সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন এবং তাকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে ।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
ড. ইউনূসের আগমন উপলক্ষে হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণ তার আগমনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং গ্রাম সজ্জা ।
সফরের গুরুত্ব
আজ বুধবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সফর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধানে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন দ্রুত হতে পারে। এছাড়া, স্থানীয় জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশাসনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।