প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

মিয়ানমারের উপকূলে জাহাজডুবি, চারশোর বেশি রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা

মিয়ানমারের উপকূলে সাম্প্রতিক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৪২৭ জনের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য চলতি বছরের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্র দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মিয়ানমারের উপকূলে জাহাজডুবি, চারশোর বেশি রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ৯ ও ১০ মে, দুটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী সমুদ্রপথে যাত্রা করেছিলেন।

  • প্রথম নৌকা: ৯ মে, ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়; মাত্র ৬৬ জন বেঁচে যান।

  • দ্বিতীয় নৌকা: ১০ মে, ২৪৭ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়; মাত্র ২১ জন বেঁচে যান।

এই দুই দুর্ঘটনায় মোট ৮৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, বাকি ৪২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 যাত্রার উদ্দেশ্য: কেন এই বিপজ্জনক পথ?

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এবং বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন। দীর্ঘদিনের নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার অভাব, এবং নিরাপত্তাহীনতা তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা বাড়াতে বাধ্য করে।

সমুদ্রপথের ঝুঁকি: কেন এত প্রাণহানি?

মিয়ানমারের উপকূলে জাহাজডুবি, চারশোর বেশি রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রায়ই অস্থায়ী ও নিরাপত্তাহীন নৌযানে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন। মৌসুমি ঝড়, উচ্চ ঢেউ, এবং পর্যাপ্ত জ্বালানি ও খাবারের অভাব তাদের যাত্রাকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। উদ্ধার কার্যক্রমের অভাব এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার সীমাবদ্ধতাও এই ধরনের দুর্ঘটনার পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তোলে।

UNHCR এই ঘটনার পর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। তবে, ২০২৫ সালের জন্য সংস্থার $৩৮৩.১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের মাত্র ৩০% পূরণ হয়েছে, যা তাদের কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ ও আইনি পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি।

  • শরণার্থী শিবিরে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং মৌলিক সেবা নিশ্চিত।

  • সমুদ্রপথে যাত্রার ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ বিকল্পের ব্যবস্থা।

  • আন্তর্জাতিক সহায়তা ও তহবিল বৃদ্ধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *