ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাংলাদেশের ‘শাপে বর’ হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত এককভাবে বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠাতে ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করত। ভারতের কাস্টমস বিভাগ এই সিদ্ধান্তের পেছনে তাদের নিজস্ব রপ্তানিতে বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে আমাদের জন্য শাপে বর হয়েছে। তাদের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না এবং একটি মেকানিজম দাঁড়িয়ে গেছে। দিল্লির পরিবর্তে সিলেট থেকে হচ্ছে।”
বিকল্প রপ্তানি পথের ব্যবহার
বাংলাদেশ এখন চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানি করছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে।
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাংলাদেশের ‘শাপে বর’ হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশও স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। এই পদক্ষেপটি পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা নির্দেশ করে।
নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাংলাদেশের নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশ বিকল্প রপ্তানি পথ ব্যবহার করে এই প্রভাব কমিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছে।
কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তন
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাংলাদেশের ‘শাপে বর’ হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে নতুন আলোচনার সূচনা করতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, যা দেশের প্রধান রপ্তানি খাত, এই পরিবর্তনের ফলে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তবে সরাসরি রপ্তানি পথের ব্যবহার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বন্দর ও রপ্তানি অবকাঠামোর উন্নয়ন এই পরিস্থিতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে।