প্রথম বসন্ত

আজ  শুক্রবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শুক্রবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

পঞ্চম দিনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: তেহরান ত্যাগের আহ্বান ট্রাম্পের

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে তীব্র সামরিক সংঘাত হয়ে উঠেছে ইরান–ইসরায়েল সংঘর্ষ টানা পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। দুইপক্ষের রকেট ও বিমান হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ তেহরান ত্যাগের আহ্বান জানালেন, যা পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে। ।

পঞ্চম দিনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: তেহরান ত্যাগের আহ্বান ট্রাম্পের

জুন ১৩ তারিখে ইসরায়েল “Operation Rising Lion” নামে বড় ধরনের বিমান ও ড্রোন আক্রমণ শুরু করে তেহরান ও ন্যাটান্‌‌জ পারমাণবিক স্থাপনায়

প্রতিক্রিয়ায় ইরান ১৫০–২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০–১২৫ ড্রোন ছুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েলের দিকে

এই সিরিজের আঘাতে ইরানী পক্ষ জানায় টানা পাঁচ দিনে নিহত ২২৪ (বেশিরভাগ বেসামরিক), ইসরায়েলে নিহত ২৪ জন, আহত বহু

তেল আবিব, হাইফা সহ শহরগুলোর ওপর স্যরেন বাজে, বিস্ফোরণ শোনা যায়। তেহরানে ব্যাপক বিমান প্রতিরক্ষা কাজ করেছে, বিশেষ করে স্থাপনায়, যেমন ন্যাটান্জ ও পারমাণবিক কেন্দ্র

গোষ্ঠী ৭ (G7) শীর্ষ সম্মেলন কানাডায় ট্রাম্প এক দিন আগেই ছেড়ে আসে, হোয়াইট হাউস জানায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক কারণে

তার Truth Social পোস্টে তিনি লিখেছেন, “Everyone should immediately evacuate Tehran!” কারণ তিনি মনে করেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তি না মানায় মানব প্রাণের অপচয় হয়েছে

রাস্তা এক, ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে না—তিনি বারবার এই বক্তব্য দিচ্ছেন

হোয়াইট হাউজ ও প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বারবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আক্রমণে অংশ নিচ্ছে না, বরং প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে

পঞ্চম দিনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: তেহরান ত্যাগের আহ্বান ট্রাম্পেরইরান ওমান, কাতার ও সৌদি আরবের মাধ্যমে ট্রাম্পকে মাধ্যমে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ করেছে। বিনিময়ে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু হতে পারে

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন—যদি ট্রাম্প আন্তরিক হন, তাইলে কূটনৈতিক পথ ফলপ্রসূ হতে পারে

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের আগাম প্রত্যাবর্তন যুদ্ধবিরতি ওাপ্রকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে

তেহরান থেকে উত্তরাঞ্চলে বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু Exodus শুরু হয়েছে, শতশত হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছড়িয়ে পড়ছে

তেলের দাম বেড়েছে—WTI ও Brent সৌদি মার্কেটে ~২-৩% উর্ধ্বগতি ঘটেছে, বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাজনিত মুদ্রায় আগ্রহী হয়েছে

বাজারে “safe‑haven” হিসেবে সোনা, ইউএস ট্রেজারি বন্ডে চাহিদা বেড়েছে; ইউএস স্টক ফিউচার, ইউরোপীয় সূচকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

Mossad ও ইসরায়েলের মিলিত গতিবিধি: ড্রোন ও সামরিক উড়োজাহাজ মারফত ইরানের অন্তর্বাস কৰা স্যাটেলাইট উড়োজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্র স্ট্রাকচার বিপর্যস্ত করেছে

ইসরায়েল বলছে—ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র-সম্পর্কিত ক্ষমতা টার্গেট করে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলো—এখন তা অতিক্রান্ত হয়েছে

ইরান প্রতিক্রিয়ায় ঘোষণা করেছে ভবিষ্যতে “largest and most intense missile attack” করার প্রস্তুতি নিচ্ছে

হেগসেথ জানান, মার্কিন প্রশাসন চুক্তির জন্যই কাজ করছে এবং তাদের ভূমিকা শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরাসরি কোন আক্রমণ চালাচ্ছে না

কংগ্রেসেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—“unauthorized military action” নিয়ে সংসদীয় তত্ত্বাবধানের দাবি উঠছে

তেল ও সোনা বাজারে সন্দেহ এতই, যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিক্রিয়া বাড়ছে।

গঠিত শান্তি প্রস্তাব—জিও ৭ ও আঞ্চলিক মধ্যস্থতা (ওমান, কাতার, সৌদি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তবে ইসরায়েলকে সামরিক আক্রমণ বন্ধ করতে হবে

ইরান পর্যবেক্ষণ করছে—শুধুমাত্র ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করলে ভাবিবেন কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে পারেন

পঞ্চম দিনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: তেহরান ত্যাগের আহ্বান ট্রাম্পেরবর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থার স্বরূপ– এটি শুধুই সামরিক সংঘাত নয়, এটি একটি জটিল ডিপ্লোম্যাটিক সংকট, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বিশাল মানবিক বিপর্যয়ের সম্মিলিত প্রতিচ্ছবি। ট্রাম্পের “evacuate Tehran” আহ্বান একদিকে মার্কিন কূটনৈতিক কৌশলকেই নির্দেশ করে, অন্যদিকে পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র ইঙ্গিত করে যে—যুদ্ধ ও শান্তির লড়াই এখন কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়; পারমাণবিক চুক্তি, বাজারের প্রতিক্রিয়া, গোষ্ঠী-৭ ও আঞ্চলিক মধ্যস্থতার রাজনৈতিক খেলা—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে একটি বহুমাত্রিক পরিস্থিতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *