গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী, শিশু এবং সাংবাদিকসহ পুরো পরিবার রয়েছে। এই হামলা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দার সৃষ্টি করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৬০
হামলার বিবরণ
২০২৫ সালের ১৫ মে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন, যার মধ্যে সাংবাদিক হাসান সামুর ও তার ১১ জন পরিবারের সদস্য রয়েছেন । স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৩,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক ।
মানবিক সংকট
গাজায় চলমান ইসরায়েলি অবরোধের কারণে মানবিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। জরুরি খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সতর্ক করেছে যে, গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৬০। ইসরায়েলি হামলায় গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র, ইউরোপীয় হাসপাতাল, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বর্তমানে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে ।
যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় গাজাকে “ফ্রিডম জোন” বা “স্বাধীনতা অঞ্চল” হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন, যা ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে ।
হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত, তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলকে “গণহত্যাকারী রাষ্ট্র” হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে ।