
২০২৫ সালের ঈদুল আজহার প্রাক্কালে, যখন মুসলিম বিশ্ব আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠতে প্রস্তুত, তখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর থেকে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এই দুই বছরের সংঘাতে গাজায় প্রায় ৫৫,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ আহত হয়েছেন। ঈদের আগের দিন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালায়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঈদের আগের দিন গাজায় ৩৭ জনকে হত্যা ইসরায়েলের
হামলার বিবরণ
ঈদের আগের দিন, গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই হামলাগুলো মূলত বেসামরিক এলাকায় কেন্দ্রীভূত ছিল, যেখানে সাধারণ মানুষ ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই হামলাকে অমানবিক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে। তবে, ইসরায়েল দাবি করে যে তারা হামাসের সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি
গাজায় চলমান সংঘাতের ফলে মানবিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। খাদ্য, পানি, ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করলেও নিরাপত্তার অভাবে তা ব্যাহত হচ্ছে।
ঈদের আনন্দে বিষাদের ছায়া
ঈদুল আজহা মুসলিমদের জন্য একটি পবিত্র ও আনন্দের উৎসব। তবে গাজার মানুষদের জন্য এই ঈদ ছিল শোকের। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঈদের দিনটি শোক পালন করে কাটান। মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজের পর নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর সমাধান দেখা যায়নি।
গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়া একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।