
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রেক্ষিতে, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। ফ্রান্স এই মানবিক সংকটের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের। ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করছে:
-
সামরিক সহযোগিতা সীমিতকরণ: ফ্রান্স ইতিমধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলিকে ইউরোসেটরি অস্ত্র মেলায় অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করেছে ।
-
রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি: ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে ।
-
প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি: ফ্রান্স প্যালেস্টাইনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে, যা ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে পারে ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের। ফ্রান্সের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে “ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্রুসেড” হিসেবে অভিহিত করেছে । অন্যদিকে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে “পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা” বলে অভিহিত করেছেন ।
ফ্রান্সের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করেছে। এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।