প্রথম বসন্ত

আজ  শুক্রবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শুক্রবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

ইরান পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করবে না

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে ইরান “পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করবে না” এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ত্যাগ করবে না । 

২০০২ সালে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের তথ্য সামনে আসে২০১৫ সালের JCPOA বা পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত, যেখানে অনুমোদিত মাত্রা ছিল ৫%; কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বের হওয়ার পর পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়২০২৩–২৫ সময়ের মধ্যে ইরান ৬০‑৮৩% সমৃদ্ধকরণে পৌঁছে যায়, যা যুদ্ধস্তরের স্তরের কাছাকাছিইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নানান মুহূর্তে ইরানের পারমাণবিক-ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেইউরোপীয় শক্তি দেশের অধিবেশনে ইরানকে পরমাণু সমৃদ্ধি বন্ধে চাপ দিয়েছে, তবে ইরান উত্তরে বলেছে, “হুমকি বা যুদ্ধ দিয়ে আমরা থামবো না”প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁর ফোনালাপে ইরান আরও পরিষ্কার করে বলেছেন, “পারমাণবিক কার্যক্রমে আস্থা বাড়াতে প্রস্তত, বন্ধ করবে না”আইএএএ জানায় তারা ইরানের কিছুকিছু স্থানে সহযোগিতা না পায়; ইরান ৬০% ইউরেনিয়াম এ সহজে জমা করে রেখেছেউচ্চ‑শক্তির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০‑শতাংশ প্রয়োজনইউরোপীয় আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েলের পূর্ব হামলা “আত্মরক্ষামূলক” হিসেবে বৈধ নাও হতে পারে  উপসাগরীয় অঞ্চলে খাড়ি সংকট, তেল রফতানিতে বাধা, এবং জ্বালানি দাম ওঠা-নামার সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের বি‑2 বোমারু বিমান গুয়ামে অবস্থান নেয়, যা আরও সামরিক হুমকির ইঙ্গিতইসরায়েল দীর্ঘ যুদ্ধে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছেট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনদের মধ্যে পরস্পরবিরোধ, Gabbard বলেন “ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না”রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আশ্বাস দিয়েছেন– “ইরান অস্ত্র নয়, শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম চালাচ্ছে” জেনেভা বৈঠকে ইউরোপ–ইউরোপীয় ছাড়, আলোচনায় ইরান কিন্তু দাবি তুলেছে– ‘আত্মরক্ষামূলক হামলা বন্ধ না হলে নেই আলোচনা’পারমাণবিক কর্মসূচি স্বাধীনভাবে চালিয়ে নেওয়ার অধিকার ইরান চায় । 

ইরান স্পষ্ট করে বলেছে, “পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করবে না”। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও, দেশটির জন্য জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে এটি অপরিহার্য দাবি। তবে স্থিতিশীলতা, শান্তিপূর্ণ ব্যাবহার, আইএএএ সহযোগিতা, ও কূটনৈতিক আলোচনার ফসল ছাড়া সংকট মেটানো যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *