প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো হিজবুল্লাহ

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমান সংঘাতের ফলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো হিজবুল্লাহএই সময়ে হিজবুল্লাহ মহাসচিব নাঈম কাশেম এক জোরালো বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা “ইরানের বৈধ ও স্বাধীন অধিকারের পক্ষে রয়েছে” । তবে সরাসরি সেনা অংশগ্রহণের কোন ঘোষণা না দিলেও, তিনি বলেন, “আমেরিকা ও ইসরায়েলের ঘৃণ্য আগ্রাসনের মোকাবেলায় যা যথাযথ মনে হবে, আমরা তা করব”। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে—“হিজবুল্লাহর যুদ্ধে অংশগ্রহণ ‘খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত’ হবে”। এই পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করা জরুরি।

ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো হিজবুল্লাহ

নাঈম কাশেম জোর দিয়ে বলেছেন হিজবুল্লাহ “নিরপেক্ষ নয়”—ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে

তবে, কোন সামরিক হস্তক্ষেপের ঘোষণা এখনও দেয়নি—they’re in solidarity without direct intervention.

বিশ্লেষকদের মতে, তারা বাকি আছে “সাতুর” অবস্থায়, প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেবে।

ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের আর্ক ও খণ্ডব পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে; ইরান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে

সংঘাত চলার সময় একে অপরের লক্ষ্যবেঁধে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; ইরানের তেহরান শহরে বেশ কিছু প্রভাব পড়েছে

ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো হিজবুল্লাহগত বছরের ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ যুদ্ধ, যেই সময় সিনিয়র কমান্ডার ও অস্ত্রঘাটা হারিয়েছে—তার কারণে সামরিক শক্তি দুর্বল

লেবাননের নতুন সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি পুনঃস্থাপনের দিকে নজর দেয়; তারা হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলছে

স্থানীয় জনগণের মনোভাবও গুরুত্বপূর্ণ: বাকিরা মনে করছে, লেবানন আর নতুন যুদ্ধ বাবদ চাপ নিতে পারবে না

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—“হিজবুল্লাহর যুদ্ধে ঢোকা হবে ‘একেবারে খারাপ সিদ্ধান্ত’”

লেবাননের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান দিয়েছেন—যাতেই দেশ আরও বিপদে না পড়ে

Axis of Resistance-এর মতো ইরানের সামরিক জোট যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথিস—এদের মধ্যে হিজবুল্লাহই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু এখন কম সক্রিয়

অনেকে মনে করছেন—এরা রক্ষণশীল অবস্থায় আছে; ওরা সিরিয়াস হুমকি না পেলে আক্রমণ করবে না।

ইরান বছরে প্রায় $৭০০ মিলিয়ন থেকে $১ বিলিয়ন পর্যন্ত সহযোগিতা/অর্থায়ন করে থাকেঃ অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, ফান্ডিং

Quds Force-এর মাধ্যমে ইরান সরাসরি হিজবুল্লাহকে কৌশলগত ও সামরিক পরামর্শ প্রদান করে

এই সম্পর্ক তাদের Axis of Resistance-এ সংকীর্ণ সীমায় সমর্থন করেছে।

হিজবুল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবলীলভাবে অবস্থান নিয়ে—যদি ইরানের বৈধতা বা ওরা দেখে তীব্র হুমকি, তখন “যা যথাযথ মনে হবে” – সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে

মার্কিন পুনরাবর্তন কিংবা আঞ্চলিক অংশগ্রহণের ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, হিজবুল্লাহ হেরফের করতে পারে।

লেবাননে: সরকার ও অর্থনীতির দিকে ঝুঁকছে—নিরপেক্ষতা রক্ষা করার চেষ্টা। আর্থিক ও রাজনৈতিক পুনর্গঠন প্রভাবিত হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে: সংঘাতের বিস্তার নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। Israel–Iran উত্তেজনার ছাপ শক্তিশালী হবে।

বিশ্বদৃষ্টি: আন্তর্জাতিক চাপ ও শান্তিপ্রয়াস বেড়ে যাবে। ভবিষ্যতে জাতিসংঘ বা তৃতীয় পক্ষ সক্রিয়ভাবে এড়িয়ে চলবে।

“ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো হিজবুল্লাহ”—উক্তি কঠিনভাবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এরা নিরর্থক নয় বরং সুচিন্তায় ‘নীরব অবস্থায়’ রয়েছে। উচ্চ স্তরের হুঁশিয়ারি ও সাম্প্রতিক অস্ত্র-অর্থের ক্ষতি তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত রেখেছে। তবে ভবিষ্যৎ—বিশেষ করে যখন ইরান সরাসরি মৃত্যুর মুখে—তাদের অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে।

লেবানন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই নীতি মেনে নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে উপসংহারে বলা যায়—হিজবুল্লাহ এখনও ইরানের বাধ্য, কিন্তু মুহূর্তের বিবেচনায় দমে আছে। পরিস্থিতির উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক ইঙ্গিত বিবেচনায় চলার পথ দেখাচ্ছে। আপনার ওয়েবসাইটের পাঠকদের জন্য ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণের সেরা রেফারেন্স হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *