বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস
৮ই জুন ২০২৫ – লস অ্যাঞ্জেলেসে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করছিলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করেই ২০০০ জন জাতীয় গার্ড সার্জেন্ট মোতায়েন করেন, ICE (ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) কর্তৃক পরিচালিত ছাপাখানার নীতির তীব্র বিরোধের প্রেক্ষিতে । এটি ছিল এক দশকের মধ্যে প্রথমবার, যখন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে এরকম সতর্কত। নিয়েছেন, যা Lyndon Johnson–এর ১৯৬৫ সালের সেলমা অভিযানকেও বিঁধে যোগ্য। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক বিতর্কিত আলোচনার জন্ম দেয়—কি এটি সংবিধানসম্মত? স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের সীমা অতিক্রম না করে কি আন্তঃশাসন ধ্বংস করছে?
বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, সেনা মোতায়েন করলেন ট্রাম্প
জুন ৬–৭ তারিখে ICE–এর ব্যাপক রেইড চলাকালে অন্তত ৪৪ জন বাসিন্দা আটক হয় । বিক্ষোভকারীরা LA–র কেন্দ্রে “No ICE in L.A.” স্লোগান দিয়ে এবং ১০১ ফ্রিওয়েতে অবস্থান করে, যাতে LA–এর রাস্তাঘাট নির্দিষ্ট সময়ে কর্মহীন হয় । প্রার্থীরা পাথর, সিমেন্ট ফেলে এবং মার্কিন পতাকা থেকে মেক্সিকান পতাকা মিথস্ক্রিয়ায় উত্তেজনা বাড়ে । পুলিশ ও জাতীয় গার্ড বিক্ষোভকারীদের গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশ‑ব্যাং ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে । কম্পটন ও প্যারামাউন্ট সহ উপনগরীতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । প্রেসিডেন্ট মেমোরান্ডামে সস্পষ্টভাবে লেখা হয় “Title 10 authority”-র অধীনে জাতীয় গার্ডকে “ICE ও অন্যান্য ফেডারেল কর্মীদের সুরক্ষায়” প্রেরণ করা হবে । প্রতিরক্ষা সচিব Pete Hegseth Marines–কেও “high alert”-এ নিয়ে আসার ঘোষণা দেন । এই পদক্ষেপ সামাজিক দাঙ্গা, বিদ্রোহ বিরোধী বা আইন প্রণয়ন কার্য সঞ্চালনের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের অধিকার বলে মনে করা হলেও, এটি কি গভর্নরের অনুমতি ব্যতীত সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । গভর্নর Gavin Newsom “purposefully inflammatory” বলে সেনা মোতায়েনের নিন্দা করেন এবং তা “রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন” আখ্যা দেন । লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র Karen Bass বলেন, “What we’re seeing […] chaos provoked”। Bernie Sanders, Hakeem Jeffries, Adam Schiff–সহ কেউ কেউ এটিকে “authoritarian show of strength” বলছেন । ACLU–র Hina Shamsi এটিকে “unnecessary, inflammatory, and an abuse of power” বলেন ।YouGov–এর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেল, দেশব্যাপী ICE–এর crackdown–এ ৫৪% সমর্থন প্রকাশ করলেও, সেনা মোতায়েন নিয়ে সমর্থন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে । মিডিয়ায় বিষয়টি তীব্রভাবে আলোচিত—Financial Times একে “limits of presidential authority” টেস্ট বলেছে, Daily Beast ও Reuters একে “dictatorial overreach”, “insurrectionist” হিসেবে বর্ণনা করেছে ।
Title 10 authority–র কার্যকারিতা, সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণে মার্শাল ল-শৃঙ্খলা ও স্বায়ত্তশাসন ক্ষয়ের সীমা সম্পর্কে জমাট বাঁধছে বিতর্ক ।
বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, সেনা মোতায়েন করলেন ট্রাম্প। এই পদক্ষেপ নির্বাচনী কৌশল হিসেবে লক্ষ্যণীয়—Trump–এর প্রভাবশালী দফতর বলেন, এটি Red–Blues আমেরিকার মধ্যে তার সাপোর্ট শক্তিশালী করছে, কিন্তু Progressive California–তে রুষ্টি বাড়িয়েছে । ICE–এর অভিযান শ্রম বাজারে লোক সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে, এবং জাতীয় গার্ড–এর পদক্ষেপ ব্যবসায়ী ও জনমতকে বিভ্রান্তি করছে । রাষ্ট্রীয় স্বায়ত্তশাসন বনাম কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ: ট্রাম্প–এর পদক্ষেপ কি ইতিহাসে এক নতুন precedent সেট করলো? আইন ও সংবিধান: Title 10 এবং Insurrection Act–এর বাস্তব প্রয়োগে কি সমমার্জিত হয়েছে? সামাজিক ধারাপ্রবাহ: LA–র স্থানীয় সম্প্রদায় ও Pro‑immigrant আন্দোলনের শক্তি কি ক্ষতিগ্রস্ত বা শক্তিশালী হয়েছে? পরবর্তী পর্যায়: ভবিষ্যতে Konstitutional challenges, Supreme Court বিচার ও আইনি রায়ের দ্বারকারণা রয়েছে।
বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, সেনা মোতায়েন করলেন ট্রাম্প। লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্প–এর সেনা মোতায়েন কেবল স্থানীয় সংকট নয়—এটি মার্কিন রাজনৈতিক ও আইনগত কাঠামোর ওপর একটি দারুন পরীক্ষা। এটি দেখালো কতটুকু রাষ্ট্রপতি ক্ষমতায় কেন্দ্রীভূত অ্যাকশন নিতে পারেন, এবং কোন সীমায় তা সংবিধান ও রাজ্য সরকারের সাংবিধানিক অধিকারকে প্রাধান্য দেয়। এটি একটি ইতিহাসের বড় অধ্যায়ের সূচনা। তবে এর ভবিষ্যত দিক আরও গভীর বিচার ও সামাজিক সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করছে।