প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে চীন থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে।মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে চীন থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু বর্তমানে এই প্রাণকেন্দ্রকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তুলতে, বাংলাদেশ সরকার চীন থেকে Tk ৩,৫৯২.৯০ কোটি (≈ US $335–400 মিলিয়নের মত) ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে চীন থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু

 রাজনীতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট

  • ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চীনের সঙ্গে উচ্চ-স্তরের আলোচনায় এটি অনুমোদিত হয়

  • ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে সরকার ও চীনা প্রতিষ্ঠান চুক্তি স্বাক্ষর করেন (G2G ভিত্তিতে)

 অর্থনৈতিক শর্তাবলী

  • প্রকল্প ব্যয়: Tk ৪,০৬৮.২২ কোটি, যার মধ্যে:

    • বাংলাদেশ সরকারের অংশ: Tk ৪৭৫.৩২ কোটি

    • চীনের ঋণ: Tk ৩,৫৯২.৯০ কোটি (~US $335–400 মিলিয়ন)

 G2G ও DPM ভিত্তিক চুক্তি

“সরকার-টু-সরকার” (G2G) ভিত্তি ও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (DPM) ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে প্রধান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান: China Civil Engineering Construction Corporation (CCECC)

একনেক ও সরকারি ক্রয়-উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতিতে প্রকল্প

 প্রকল্পের টেকনিক্যাল বিবরণ

  • দুইটি ৩৬৮ মিটার কন্টেইনার জেটি

  • ৮৭,৬০০ ম² ফ্লাট বা লোডেড ইয়ার্ড ও ৩৪,১৭০ ম² খালি ইয়ার্ড

  • ৪,২৬০ ম² হ্যাজার্ড কার্গো পরিচালনার সুবিধা

  • ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭টি RTGs ও ৩৩টি অন্যান্য ইকুইপমেন্ট

  • অটোমেশন, আইসিটি‑ভিত্তিক কমিউনিকেশন, পানি-বির্জ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা

এসব নির্মাণ কাজের মাধ্যমে মোংলা বন্দর একটি “স্মার্ট ও গ্রিন পোর্টে” রূপান্তরিত হবে

 ঋণ ও অর্থায়ন বিশ্লেষণ

উৎস পরিমাণ (Tk) শতাংশ
বাংলাদেশ সরকার ৪৭৫.৩২ কোটি ~১১.৭%
চীন (ঋণ) ৩,৫৯২.৯০ কোটি ~৮৮.৩%
মোট ৪,০৬৮.২২ কোটি ১০০%

এখানে চীনের ঋণ “soft loan” হিসেবে, যার সুদের হার ও মেয়াদকাল সরকারী চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।

১. ক্ষমতা বৃদ্ধি: ৪ লাখ TEU হ্যান্ডলিং ক্ষমতা অর্জন 
২. আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি: ভারতের উত্তর-পূর্ব, নেপাল-বূটান, চীন ইত্যাদির সঙ্গে লজিস্টিক কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি

  1. পরিবেশ ও অটোমেশন: পরিবেশ বান্ধব ডিজাইন, স্মার্ট টার্মিনাল ও সুবিধাজনক চালু-ছাঁটা অপারেশন

  1. বাণিজ্যিক hub হওয়া: দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত-অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণতির সম্ভাবনা

  • স্থিতিশীলতা: স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত সুবিধা না পেলে তারা অন্য বন্দরের দিকে ঝুঁকতে পারেন

  • অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জিম্মা:মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে চীন থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু ঋণ নির্ভরতা বৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব – বিশেষ করে চীন-ভারত প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে

  • উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত

  • G2G ও DPM ভিত্তিক স্বচ্ছতা

  • উপযুক্ত প্রকল্প বাছাই → একনেক অনুমোদন

  • চীনের প্রস্তাবিত ঋণ নিশ্চিত → চুক্তি → কাজ শুরু

এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে নির্দেশযোগ্যতা রাখে। চীন–বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে চীন থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুমোংলা বন্দরের চীন-ঋণ-ভিত্তিক আধুনিকায়ন প্রকল্প গঠন ও বাস্তবায়নভাবে রয়েছে একটি সুচিন্তিত কৌশল। এতে রয়েছে বড় ব্যয়, জটিল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, সঙ্গে রয়েছে সাধারণ জনসাধারণ ও বাণিজ্যিক সমাজের আশার আলো। প্রায় US $400 মিলিয়ন ঋণের সহায়তায় ২০২৫-২০২৮ সালের মধ্যে বন্দরকে “স্মার্ট, গ্রিন, এবং রিজিওনাল হাব” হিসেবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এই বড় প্রকল্প শুধু অবকাঠামো নয় — এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও ভূ-রাজনীতিতে একটি নবম অধ্যায় সংযোজন করছে। তবে এর সফল বাস্তবায়নে দরকার নেই গঠন ও ব্যবহারিক সক্ষমতার সংমিশ্রণ, যাতে স্থানীয় ব্যবসা ও জনযাতায়াতের সুফল সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *