
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
চীনের উন্নত ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। এই প্রযুক্তি কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খরচ হ্রাস এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কৃষি খাতে চীনের ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ, যেখানে কৃষি খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি শ্রমিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে, চীনের উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
চীনের ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন Shandong Aolan Drone Science And Technology Co., Ltd., উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন তৈরি করছে যা কৃষি খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো স্বয়ংক্রিয় ফ্লাইট, বুদ্ধিমান স্প্রে, ক্লাউড স্টোরেজ এবং ভূখণ্ড অনুযায়ী উড্ডয়নের মতো বৈশিষ্ট্যযুক্ত। একটি ড্রোন সারা দিন একটানা কাজ করতে পারে এবং 60-180 হেক্টর ক্ষেত্র কভার করতে সক্ষম।
কৃষি খাতে চীনের ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ। ড্রোনের মাধ্যমে অল্প সময়ে এবং কম খরচে বালাইনাশক ও সার প্রয়োগ করা সম্ভব। এক একর জমিতে ড্রোন ব্যবহার করে মাত্র ১৫-২০ লিটার পানি এবং ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে, যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে ২৫০-৩০০ লিটার পানি এবং ১-৩ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।
কৃষি খাতে চীনের ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ। ড্রোনের মাধ্যমে ফসলের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত ড্রোন ফসলের রোগ, আগাছা এবং পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম। এতে করে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
কৃষি খাতে চীনের ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ। ড্রোনের মাধ্যমে জমির আর্দ্রতা নির্ণয় করে সেচের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা যায়। এতে করে সেচের পানির অপচয় রোধ হয় এবং সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈরী আবহাওয়া বা রোগের কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়। বাংলাদেশে এডিবি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সরকার চীনের উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এডিবি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এছাড়া, চীনের কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব।
-
উন্নত প্রযুক্তির উচ্চ খরচ
-
প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব
-
আইনি ও নীতিগত কাঠামোর অভাব
- সরকারি ও বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ
- কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান
- ড্রোন প্রযুক্তির আমদানি ও ব্যবহারে নীতিগত সহায়তা প্রদান
চীনের উন্নত ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশের কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খরচ হ্রাস এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষি খাতকে আরও উন্নত করা যেতে পারে।