মার্চ ফর গাজা: এ যেন এক অন্য ঢাকা
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার রাজপথে এক অনন্য দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, এবং সাধারণ জনগণ একত্রিত হয়ে আয়োজন করেন “মার্চ ফর গাজা”। এই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুধুমাত্র একটি প্রতিবাদ নয়, বরং এটি ছিল বাংলাদেশের জনগণের মানবিকতা, ন্যায়বিচার, এবং আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক।
মার্চ ফর গাজা : এ যেন এক অন্য ঢাকা
তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানের পাশাপাশি ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন মানুষজন। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভের প্রেক্ষাপট
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত ও আহত হন। বিশ্বজুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশের “মার্চ ফর গাজা” উল্লেখযোগ্য। ঢাকায় এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
বিক্ষোভের আয়োজন ও অংশগ্রহণ
বিক্ষোভটি ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, এবং সাধারণ জনগণ হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, এবং ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। তাদের স্লোগানে ফুটে ওঠে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
স্লোগান ও দেয়াললিখন
বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে ও দেয়াললিখনে ফুটে ওঠে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন এবং ন্যায়বিচারের দাবি। দেয়াললিখনে দেখা যায়: “ফ্রম গাজা টু ঢাকা, জাস্টিস মাস্ট বি সার্ভড”, “গাজা থেকে ঢাকায় ইনসাফ দিতে হবে”, এবং “ঢাকা থেকে গাজায় ইন্তিফাদা জারি থাক”।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মার্চ ফর গাজা : এ যেন এক অন্য ঢাকা। বাংলাদেশের এই বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং ফিলিস্তিনি সংহতি গ্রুপ বাংলাদেশি জনগণের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তারা মনে করেন, এই ধরনের আন্দোলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সহায়ক।
বিক্ষোভের প্রভাব
“মার্চ ফর গাজা” বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে মানবিকতা, ন্যায়বিচার, এবং আন্তর্জাতিক সংহতির চেতনা জাগ্রত করে। এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করে যে, তারা বিশ্বব্যাপী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
“মার্চ ফর গাজা” ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে জনগণ তাদের মানবিকতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকার প্রকাশ করে। এই বিক্ষোভ প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বব্যাপী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং সংহত।