প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড

সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যেখানে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড।এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনটি আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

আইন সংশোধনের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর প্রতারণার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আগের আইনে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হতো এবং শাস্তির বিধানও ছিল তদনুযায়ী। তবে নতুন সংশোধনীতে এই ধরনের প্রতারণাকে ভিন্ন ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশোধিত আইনের মূল বিষয়বস্তু

বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণা: প্রেমের সম্পর্কের সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরে প্রতারণা করলে তা আর ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। এ ধরনের প্রতারণাকে আলাদা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

বলাৎকারের সংজ্ঞা পরিবর্তন: সংশোধিত আইনে বলাৎকারের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা আইনের প্রয়োগে স্পষ্টতা আনবে।

বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা: ধর্ষণ মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে নতুন দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

কিছু বিশেষজ্ঞ দ্রুত আইন সংশোধনের পরিবর্তে ধর্ষণ প্রতিরোধ এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দিকে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, আইনের প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *