প্রবাসী আয়ে ঈদের আগে জোয়ার: মার্চের ১৯ দিনে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসী আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
প্রবাসী আয়ের বর্তমান প্রবণতা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় এ বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বজনদের কাছে বেশি পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন, যা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এছাড়া, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পরিবেশের উন্নতিও প্রবাসীদের আস্থা বাড়িয়েছে, ফলে তারা বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা
রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চ মাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে। এর আগে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি মাসে এই পরিমাণ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থনীতিতে প্রভাব
প্রবাসী আয়ে ঈদের আগে জোয়ার: মার্চের ১৯ দিনে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হচ্ছে, যা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করছে। এটি মুদ্রার বিনিময় হারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ কমাচ্ছে। এছাড়া, গ্রামীণ অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা স্থানীয় বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি করছে।
প্রবাসীদের অবদান
প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও আয়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত প্রবাসীদের সুবিধা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।