আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কাজেই সংস্কার করে ফেলতে হবে: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চায়, তাহলে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
ড. ইউনূসের মতে, সংস্কার ও নির্বাচন সম্পূর্ণই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের বিষয়। তিনি বলেন, “সংস্কার যত দ্রুত হবে, নির্বাচনও তত দ্রুত হবে। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেব।”
নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্কারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ড. ইউনূস জানান, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তবে, এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমাদের বলে, দরকার নেই, যেভাবে আছে সেভাবেই নির্বাচন করে দেন, আমরা করে দেব।”
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ তৈরি করবে। তিনি বলেন, “আমরা কোনো কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছি না। প্রশাসন কেবল প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কাজ করছে।”
সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে, যেখানে তাদের মতামত নেওয়া হবে। ড. ইউনূস বলেন, “গণমাধ্যমে সম্পাদকীয় লেখা হবে, তাদের মতামত আসবে। সুশীল সমাজের মতামত নেব।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, সংস্কারের সময়সীমা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলো কত দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে তার ওপর। তিনি বলেন, “আমাকে জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই যে কতদিন লাগবে।”
আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কাজেই সংস্কার করে ফেলতে হবে: ড. ইউনূস। ড. ইউনূসের এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।