প্রথম বসন্ত

আজ  বুধবার ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  বুধবার ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

দেশের সব বিমানবন্দরে চালু হতে পারে স্টারলিংকের ইন্টারনেট

দেশের সব বিমানবন্দরে চালু হতে পারে স্টারলিংকের ইন্টারনেট

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং স্পেসএক্স-এর গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড এইচ গ্রিফিতসের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বিমানবন্দরগুলোতে স্টারলিংকের সেবা চালুর সম্ভাবনা, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

দেশের সব বিমানবন্দরে চালু হতে পারে স্টারলিংকের ইন্টারনেট

স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা:

স্টারলিংক হলো স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা, যা পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে স্থাপিত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে যেখানে প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো কঠিন, সেখানে স্টারলিংক একটি কার্যকর সমাধান প্রদান করে।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আগমন:

ভুটানে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে এবং বাংলাদেশেও এ বছরই এই সেবা চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপের পর বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালুর প্রয়োজনীয়তা ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সরকারের পদক্ষেপ:

বাংলাদেশ সরকার স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দেশে স্টারলিংক সেবা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। সরকার আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে স্টারলিংক সেবা চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বিমানবন্দরে স্টারলিংক সেবা চালুর সম্ভাব্য সুবিধা:

  • উচ্চগতির ইন্টারনেট: স্টারলিংক সেবা চালুর মাধ্যমে বিমানবন্দরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত হবে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

  • নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ: স্টারলিংকের স্যাটেলাইটভিত্তিক সেবা বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও ইন্টারনেট সংযোগ বজায় রাখতে সক্ষম।

  • প্রযুক্তিগত উন্নয়ন: বিমানবন্দরগুলোর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নত হবে, যা সামগ্রিক সেবার মান বৃদ্ধি করবে।

চ্যালেঞ্জ ও করণীয়:

স্টারলিংক সেবার উচ্চমূল্য বাংলাদেশের বাজারে একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সেবা সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, স্থানীয় অবকাঠামোর সঙ্গে স্টারলিংক সেবার সমন্বয় নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি গ্রহণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সেবা চালুর মাধ্যমে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *