আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো মানসম্পন্ন বই পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করা হবে।
আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবইয়ের পরিবর্ধন
২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবইগুলোর পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান জানান, এই পরিবর্তনের কারণে বই ছাপানোর কাজে কিছুটা দেরি হয়েছে।
মুদ্রণ কার্যক্রমের সময়সূচি ও চ্যালেঞ্জ
সাধারণত জুন মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই মুদ্রণের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এবার বিভিন্ন কারণে এই কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। মুদ্রণকারীরা মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ৩৬ কোটি বই ছাপানোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন, যা পূর্বের ১৮০ দিনের সময়সীমার তুলনায় অনেক কম। এতে বছরের শুরুর দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মুদ্রণকারীদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা
দীর্ঘ ১৫ বছর পর এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই দেশের ছাপাখানায় মুদ্রিত হবে। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর পাঠ্যবইয়ের একটি বড় অংশ ভারত থেকে ছাপানো হতো। দেশীয় মুদ্রণকারীরা এই বিশাল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রস্তুত, তবে সময়সীমা ও কাগজের প্রাপ্যতা নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে।
এনসিটিবির পদক্ষেপ ও আশাবাদ
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান জানান, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের বই ছাপানোর কাজ শেষ হবে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ের দরপত্রের কাজ শেষ হয়েছে এবং সেগুলোর মুদ্রণ কার্যক্রমও শীঘ্রই শুরু হবে। নবম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া আগামী মাসে শুরু হবে। তিনি সময়মতো বই বিতরণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রস্তুতি
শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইগুলোর পরিবর্ধন ও পরিমার্জন তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এনসিটিবি ও মুদ্রণকারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।