প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

মণিপুরে প্রবল ভূমিকম্প, কাঁপলো বাংলাদেশও

মণিপুরে প্রবল ভূমিকম্প, কাঁপলো বাংলাদেশও

ভারতের মণিপুর রাজ্যে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পটির প্রভাব বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে।

 

মণিপুরে প্রবল ভূমিকম্প, কাঁপলো বাংলাদেশও

মণিপুরে প্রবল ভূমিকম্প, কাঁপলো বাংলাদেশও

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও গভীরতা:

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মণিপুরের ইয়াইরিপক শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

বাংলাদেশে প্রভাব:

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ বিভাগের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, এটি মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে, যা ঢাকা থেকে প্রায় ৪৪৯ কিলোমিটার দূরে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ভূমিকম্পটি সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতে প্রভাব:

ভারতের মণিপুর রাজ্যে এই ভূমিকম্পের ফলে বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক ভূমিকম্প:

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অংশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের ভুরাগাঁওয়ে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎপত্তিস্থল ভারতে হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভূটান এবং চীনেও ছড়িয়ে পড়ে।

সতর্কতা ও প্রস্তুতি:

বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল নকশা অনুসরণ এবং জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

সর্বশেষ এই ভূমিকম্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি সর্বদা সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *