ইসরায়েলে বাস স্টেশনে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আহত ৭
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে পরদেস হান্না-কারকুর জংশনের একটি বাস স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) এক ব্যক্তি তার গাড়ি চালিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন, ফলে সাতজন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি চিকিৎসকরা। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ফিলিস্তিনি এবং তিনি ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
ইসরায়েলে বাস স্টেশনে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আহত ৭
হামলার বিবরণ
স্থানীয় সময় বিকেলে পরদেস হান্না-কারকুর জংশনের বাস স্টেশনে লোকজন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে স্টেশনে ঢুকে পড়ে এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ওপর গাড়ি তুলে দেয়। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই হামলা চালিয়েছেন। হামলাকারী পশ্চিম তীরের জেনিনের বাসিন্দা এবং তিনি একজন ইসরায়েলি নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।
আহতদের অবস্থা
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী মেয়ে, একজন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ এবং একজন ১৯ বছর বয়সী যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে হিলেল ইয়াফে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য আহতদেরও নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার ড্যানিয়েল লেভি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। হামাস এই হামলাকে “প্রাকৃতিক ও বীরত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া” বলে অভিহিত করেছে এবং এটি “জেরুজালেমের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধের” জবাব বলে উল্লেখ করেছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিম তীরে। ইসরায়েল ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ট্যাংক পাঠিয়েছে এবং শরণার্থী শিবিরগুলোতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এই অভিযানের ফলে জেনিন ও তুলকার্ম এলাকা থেকে অন্তত ৪০,০০০ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
পরদেস হান্না-কারকুর জংশনে ঘটে যাওয়া এই হামলা ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের চলমান উত্তেজনার একটি উদাহরণ। এ ধরনের হামলা উভয় পক্ষের মধ্যে আরও সহিংসতা উসকে দিতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।