প্রথম বসন্ত

আজ  সোমবার ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  সোমবার ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনও ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো ম্যাচ না জিতলেও তার মাসিক বেতন প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা বছরে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার সমান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুযায়ী, শান্ত ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত এবং তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনও ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

কেন্দ্রীয় চুক্তি ও বেতন কাঠামো

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির অধীনে টেস্ট ফরম্যাটে শতভাগ বেতন প্রদান করা হয়, যা সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৫০% অর্থাৎ ২ লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৪০% অর্থাৎ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারিত। তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের জন্য অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা (প্রতি ফরম্যাটে ৪০ হাজার টাকা) প্রদান করা হয়। সব মিলিয়ে শান্তর মাসিক বেতন দাঁড়ায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স

সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দল প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত হয়। এই পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দলের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো করার চেষ্টা করবেন।

অন্যান্য ক্রিকেটারদের বেতন

শান্তর পর সবচেয়ে বেশি বেতন পান সাকিব আল হাসান, যার মাসিক বেতন ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং শরিফুল ইসলাম মাসিক ৫ লাখ টাকার বেশি বেতন পান। কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের বেতন তাদের ফরম্যাট এবং ক্যাটাগরির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।

বেতন ও পারফরম্যান্সের সম্পর্ক

ক্রিকেটারদের বেতন তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি এবং ফরম্যাট অনুযায়ী নির্ধারিত হলেও, মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো ম্যাচ না জিতলেও, কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শান্ত এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা তাদের নির্ধারিত বেতন পান। তবে, মাঠের পারফরম্যান্স ভালো হলে স্পন্সরশিপ, ম্যাচ ফি এবং অন্যান্য বোনাসের মাধ্যমে আয় বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মাসিক বেতন প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা বছরে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার সমান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হলেও, কেন্দ্রীয় চুক্তির ভিত্তিতে তার বেতন অপরিবর্তিত থাকে। ভবিষ্যতে দলের পারফরম্যান্স উন্নত করতে এবং দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে শান্ত ও তার দলের সদস্যরা আরও পরিশ্রম করবেন বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *