🌿 এক যুগে ‘প্রথম বসন্ত’ – সুন্নি জনতার কণ্ঠস্বর 🌿

🌿 এক যুগে ‘প্রথম বসন্ত’ – সুন্নি জনতার কণ্ঠস্বর 🌿

যুগপূর্তিতে ‘প্রথম বসন্ত’র জন্য শুভকামনা ‘প্রথম বসন্ত’ সব মানুষের কণ্ঠস্বর ও মুখপত্র আ ব ম খোরশিদ আলম খান দেখতে দেখতে ১২ বছরে পদার্পণ করলো মাসিক প্রথম বসন্ত। এই পত্রিকার বড় বৈশিষ্ট্য এটাই যে, গবেষক, সংগঠক, লেখক, অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার প্রথম বসন্তের সম্পাদক।আর শুরু থেকেই এই পত্রিকার প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন সংগঠক-রাজনীতিবিদ ও স্বনামধন্য ব্যাংকার মুহাম্মদ ফজলুল করিম তালুকদার।যিনি আমার সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন।সুন্নি অঙ্গনে আরো কয়েকটি পত্রিকা আছে।যেমন মাসিক তরজুমানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত। যা আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট কর্তৃক ৪৬ বছর ধরে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে।তরজুমানে এখন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।আঞ্জুমানের নতুন সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সংগঠক আলহাজ্ব মঞ্জুর আলম মঞ্জু।যিনি সদ্য প্রয়াত আঞ্জুমানের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।ইতিমধ্যে তরজুমানের সম্পাদনা পরিষদ পুনর্গঠিত হয়েছে।নবীন-প্রবীণ সুন্নী আলেম,লেখক গবেষকরা তরজুমান সম্পাদনার দায়িত্ব নেওয়ায় সুন্নী তরিকতপন্থী জনতার মাঝে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে।ওহাবি জামাতিদের বহু মাসিক-দৈনিক-পাক্ষিক পত্রিকার ভিড়ে অনেকটা একাই লড়ে যাচ্ছে মাসিক তরজুমান।তবে আশার কথা যে,পত্রিকা জগতে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে মাসিক প্রথম বসন্ত।পত্রিকাটির এখন সত্যিই বসন্তকাল চলছে।সম্পাদক যেহেতু জনাব বখতিয়ার ভাই,তাই এ পত্রিকার আবেদন,গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে উঠেছে বলা যায়।স্বীকার করতে দ্বিধা নেই পত্রিকাটিতে এখনো অনেক ঘাটতি ও অপূর্ণতা রয়েছে। ধীরে ধীরে প্রথম বসন্ত অপূর্ণতা কাটিয়ে উঠতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশে এখন অনেক সমস্যা।বিগত পতিত সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।১৬ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হচ্ছে এই সরকারকে।পতিত সরকার ইচ্ছেমতো ব্যাংকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে।অনেক ব্যাংকের পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।দায়িত্ব নেয়ার পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,গণমাধ্যম সরকারের ভালোমন্দ যেন তুলে ধরে। গঠনমূলক যৌক্তিক সমালোচনা সরকারকে পথ দেখাবে।সমালোচনা না হলে সরকারের ভুল ত্রুটি চিহ্নিত করা তো সম্ভব হবে না-তাই সমালোচনা সহ্য করে যাবেন বলে বারবার বলেছেন প্রফেসর ড. ইউনূস। মাসিক প্রথম বসন্তে দেশ ও জনগণের কথা,সরকারের সাফল্যের কথা এবং সরকারের যাবতীয় কাজের যৌক্তিক সমালোচনা-পর্যালোচনা উঠে আসবে আমি মনে প্রাণে এই কামনাই করি।দেশে সুফিবাদি তরিকতপন্থি সুন্নি জনতাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।কিন্তু অসংগঠিত বিচ্ছিন্ন সুন্নি জনতাকে পথ দেখাবে এমন গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া দেশে খুব একটা নেই। অথচ এর বিপরীতে বাতিল বিকৃত মতাদর্শীদের মিডিয়ায় রমরমা শক্তিশালী অবস্থানের কথা অস্বীকার করা যাবে না।ওরা নিজেদের মতাদর্শ নিজস্ব মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরছে।ফলে এই মিডিয়াগুলো তাদের পক্ষে জনমত তৈরিতে ও জনমত গঠনে ভূমিকা রাখছে।মিডিয়াকে ওরা শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।নিজেদের কথা ও মত পথের ওপর জনগণকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে এরা মিডিয়াকে সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে উপনীত করছে।সরকারের পটপরিবর্তনের পর ভিন্ন ঘরানার ইসলামী দলগুলো এখন শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গেছে।গণমাধ্যমগুলো রাতারাতি সুর ও অবস্থান পাল্টে ফেলেছে।ওরা ইসলামী দলগুলোকে বেশ তোয়াজ-খাতির করছে।কিন্তু আমরা সুন্নিপন্থী মুষ্টিমেয় রাজনৈতিক দলগুলো দেশে মিডিয়ায় এখনো পোক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারিনি।রাজনীতি,মিডিয়া ও লেখালেখির অঙ্গনে আমরা এখনো বহু পিছিয়ে রয়েছি।দেশে জনমতে গঠনে আমাদেরকে মিডিয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে হবে।রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহর থেকে একটি করে দৈনিক পত্রিকা,দেশে একাধিক মাসিক পত্রিকা/বুলেটিন প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে।চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত মাসিক প্রথম বসন্তকে ধীরে ধীরে দৈনিক পত্রিকার অবয়ব দিতে হবে।প্রথম বসন্তের সম্পাদক জনাব বখতিয়ার ভাই এ পত্রিকার জন্য যথেষ্ট সময় দেন না।তাঁকে এ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতে হবে।প্রথম বসন্তে প্রতিষ্ঠিত সুন্নি লেখক-সাংবাদিক গবেষকদের নিয়মিত লেখা ছাপার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এর গ্রহণযোগ্যতা ও পাঠকপ্রিয়তা দিন দিন বাড়বে।এ পত্রিকার জন্য আর্থিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।প্রথম বসন্তকে আরো বহু দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে।প্রকাশনার এক যুগ পূর্তিতে পাঠক,লেখক,বিজ্ঞাপনদাতা,শুভানুধ্যায়ীসহ সম্পাদক প্রকাশককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।সুন্নি তরিকতপন্থী সুফিবাদি জনতাসহ সব মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ও মুখপত্র হয়ে উঠুক প্রথম বসন্ত—এ প্রত্যাশা থাকলো