সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ফলে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ ২০২৫) থেকে দেশটিতে রোজা শুরু হবে।
সৌদি আরবে রোজা শুরুর ঘোষণা
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শনিবার থেকে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাস শুরু হচ্ছে। সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট এই ঘোষণা প্রদান করেছে।
সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ফলে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ ২০২৫) থেকে দেশটিতে রোজা শুরু
রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
রমজান মাস ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন এবং ইবাদতে মনোযোগী হন। এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। রমজান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সৌদি আরবে রমজানকালীন পরিবেশ
রমজান মাসে সৌদি আরবে বিশেষ ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করে। মক্কা ও মদিনার মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে লাখো মুসল্লি তারাবির নামাজ আদায় করেন। ইফতারের সময় বিভিন্ন স্থানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং দান-সদকার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তা করা হয়।
অন্যান্য দেশে রমজানের চাঁদ দেখা
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ, যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতেও শনিবার থেকে রোজা শুরু হবে। তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সাধারণত, এই দেশগুলোতে সৌদি আরবের পরের দিন রোজা শুরু হয়।
রমজানের প্রস্তুতি ও করণীয়
রমজান মাসে সুস্থ ও সচেতন থাকার জন্য কিছু প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ:
-
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: সেহরি ও ইফতারে পুষ্টিকর ও পরিমিত খাবার গ্রহণ করা উচিত।
-
ইবাদতে মনোযোগী হওয়া: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও তারাবির নামাজ আদায় করা।
-
দান-সদকা করা: গরিব ও দুস্থদের সহায়তা করা।
-
ধৈর্য ও সংযম রক্ষা করা: রমজান মাসে নিজের মন ও শরীরকে পবিত্র রাখা।
রমজানের ফজিলত
-
কুরআন নাজিলের মাস: রমজান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
-
ইবাদতের সওয়াব বৃদ্ধি: এই মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
-
লাইলাতুল কদর: হাজার মাসের ইবাদতের সমান রাত, যা রমজান মাসের শেষ দশকে অবস্থিত।
পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ইবাদতের মাস। সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু হওয়ায় বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এই মাসে ইবাদতে মগ্ন হবেন এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের আশায় থাকবেন।