সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, কম দামে মিলবে ২৫০ রকম ওষুধ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, সরকার দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সাশ্রয়ীমূল্যে ২৫০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ প্রয়োজনীয় ওষুধ সহজলভ্যভাবে এবং কম খরচে পেতে সক্ষম হবে।
সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, কম দামে মিলবে ২৫০ রকম ওষুধ
সরকারি ওষুধ সরবরাহের বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে, দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রায় ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন যে, সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তবে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারি হাসপাতাল থেকে মাত্র ৩ শতাংশ রোগী ওষুধ পেয়ে থাকেন, যা ওষুধ সরবরাহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ নির্দেশ করে।
ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও জেনেরিক নামের ব্যবহার
ওষুধের উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ওষুধের জেনেরিক নাম ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্যও প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ
সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, সরকারি ওষুধ খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে, যা সিস্টেমের দুর্বলতা নির্দেশ করে।
এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত সুপারিশ করা যেতে পারে:
-
মনিটরিং ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি: ওষুধ সরবরাহ ও বিতরণে কঠোর নজরদারি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণকে ওষুধের জেনেরিক নাম ও সাশ্রয়ীমূল্যে ওষুধ পাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করা।
-
প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি: ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ওষুধ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
সরকারি হাসপাতালে সাশ্রয়ীমূল্যে ২৫০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সঠিক বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এটি সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে সহায়তা করবে।