প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট গোলটেবিল বৈঠকে মতামত জানালেন এম এ মতিন

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট গোলটেবিল বৈঠকে মতামত জানালেন এম এ মতিন
——————————————
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। দলটির চেয়ারম্যান এম এ মতিন সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে এ বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।তিনি বলেন, বর্তমান প্রথম-past-the-post নির্বাচনী ব্যবস্থা ছোট ও মধ্যম পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রতিকূল। এর ফলে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না।মতিন আরও উল্লেখ করেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হলে দেশের গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে এবং জনগণের সঠিক রাজনৈতিক প্রতিনিধি নির্বাচন নিশ্চিত হবে। তিনি দাবি করেন, এই ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন সম্ভব হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বক্তারাও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দীর্ঘদিন ধরে দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছে। দলটি মনে করে, এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও কার্যকর হবে।সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা কেন গুরুত্বপূর্ণ?সমান প্রতিনিধিত্ব: ভোটের অনুপাতে দলগুলোর সংসদে আসন নিশ্চিত করা।গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণ: প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন ও গণমানুষের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলন।রাজনৈতিক বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ: ছোট ও নতুন দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি।বাংলাদেশে বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে আরও আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আয়োজিত “সংবিধান সংস্কার
কমিশনের প্রদত্ত সুপারিশমালা ও আমাদের বক্তব্য” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এইগুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আইনবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহ নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং তা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। আলোচকগণ সংবিধানের সংশোধনী ও পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা, এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদান করছেন।
এই গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে একটি সুসংহত ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবনার রূপরেখা নির্ধারণের প্রয়াস চলছে, যা ভবিষ্যতে নীতি-নির্ধারকদের জন্য দিকনির্দেশক হতে পারে।
“সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রদত্ত সুপারিশমালা ও আমাদের বক্তব্য” শীর্ষক বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের গোলটেবিল বৈঠকের মূল বক্তব্য –
সম্মানিত সভাপতি, মূখ্য আলোচক, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, অন্যান্য আলোচকবৃন্দ এবং সম্মানিত সুধীমন্ডলী,
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয়নবী দ: এর সুমহান আদর্শ, সুফিবাদী ভাবধারা, দেশীয় সংস্কৃতি ও চিরায়ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধের জন আকাংখা এবং ২৪’র স্পিরিটকে ধারন করেই “বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ” দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক কর্মসূচী পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের গোল টেবিল বৈঠক।
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ পেয়েছি। দ্রুততম সময়ে ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের সংবিধান প্রণীত হয়। বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে বারেবারে ক্ষত-বিক্ষত হয় এ সংবিধান। সর্বশেষ একক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী শাসকের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বর্তমান সংবিধান।
২৪’র জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার হটিয়ে লুপ্ত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সুমহান আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার সুসংহতকরন এবং ২৪’র আন্দোলনের স্পিরিট তথা বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র কাঠামোর বহুমাত্রিক সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যেই সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধান সংস্কারের সুপারিশমালা সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সংক্্ষিপ্ত সময়ে
উক্ত সুপারিশমালা বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা সম্ভব না হলেও মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের অবস্থান তুলে ধরছি। আজকের গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন দল -মতের আলোচকদের বিভিন্ন মতামতের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য এবং দেশের সাংবিধানিক অগ্রযাত্রা সমৃদ্ধ হবে আশা করি-
(ক): বর্তমান সংবিধানে ১১ টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭ টি তফসিল থাকলেও সুপারিশমালায় ৯ টি ভাগে সীমিতকরণ, বিভিন্ন অনুচ্ছেদে মৌলিক সংশোধন /সংস্কার এবং ৩ টি তফসিল বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
সংবিধানের ভাষা সহজ ও আকার ছোট করার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান এবং যথার্থ মনে করি।
রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের মতামত, জনমত জরিপের মাধ্যমে এ সুপারিশমালা তৈরি হয়েছে বলা হলেও আমরা মনে করি দেশের মানুষের সাথে মতবিনিময় দৃশ্যমান হয়নি। আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া বাঞ্চনীয় ছিল।
(খ): প্রস্তাবনা:
সুপারিশকৃত প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের যথার্থ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ঐক্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
আমরা মনে করি এর মাধ্যমে ২৪ এর বিপ্লবকে মহান করতে গিয়ে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ তথা রাষ্ট্রের ভিত্তির উপর কটাক্ষ করার প্রবণতা থেকে সংশ্লিষ্ট মহল বিরত থাকবে।
(গ): নাগরিকতন্ত্র:
‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশের নাগরিকদের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত সকল ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সংবিধানের মূলনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদকে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ হতে বাদ দেওয়ার সুপারিশ সন্নিবেশিত হয়।
আমরা মনে করি অন্তর্ভুক্তিমূলক এ নীতি নাগরিকের মর্যাদা, গোষ্ঠীগত স্বাতন্ত্র রক্ষা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনে সাংবিধানিক উত্তরণ বটে। এবং এর মাধ্যমে পাহাড়ি -বাঙালি দ্বন্দ্ব, গুষ্টিগত দাঙ্গা, সাম্প্রতিক মাজার ভাঙচুরসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠীগত দাঙ্গা বিলুপ্তি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করছি।
(ঘ): মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা :
বিদ্যমান মৌলিক অধিকারের সাথে খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, ভোটাধিকার, ভোক্তা সুরক্ষা ইত্যাদি অধিকারকে মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা সংহত হতে পারে।
(ঙ): আইনসভা :
চার বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৪০০ আসন নিয়ে নিম্নকক্ষ তথা জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। এরমধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য নিরঙ্কুশ থাকবে।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation-PR) পদ্ধতির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত ১০০ জন সদস্য এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজনসহ মোট ১০৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে উচ্চকক্ষ তথা সিনেট।
একজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা কিংবা রাজনৈতিক দলের প্রধান যেকোনো একটি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখায় সংখানুপাতিক পদ্ধতিতে আইনসভা গঠনে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আংশিক হলেও এর প্রতিফলন ঘটায় সাধুবাদ জানাই। তবে বিশাল আইনসভার খরচ বহনে রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে। দেশের নারী সমাজ বর্তমানে পূর্বের চেয়ে অনেক প্রাগ্রসর। সাম্প্রতিক আন্দোলনে নারী কোটা ও বাতিল হয়েছে। নারীদের অগ্রগতি বিবেচনায় ১০০ নারী আসনের কতটুকু যৌক্তিক তা পুনঃবিবেচনার দাবি রাখে। তাই ১০০ আসন নয় বরং সর্বোচ্চ ১০-২০ টি নারী আসনই আমরা সংগত মনে করি।
(চ): নির্বাহী বিভাগ
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিধান প্রনয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। যা ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারী ভূমিকায় প্রতিবন্ধকতা হবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ একটা মাইলফলক বলা যায়।
রাষ্ট্র কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগ এ কাউন্সিলের প্রস্তাবের ভিত্তিতেই হবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি এ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়। এতে করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় একক ব্যক্তির স্থায়ী থাকার অশুভ পায়তারা হতে বিরত থাকতে বাধ্য হবে।
আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখায় ও এপ্রস্তাবনা ছিল।
নির্বাহী বিভাগের উপরোক্ত সংস্কার প্রস্তাব সময়োচিত মনে করি।
(ছ): বিচার বিভাগ
বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার প্রতিবন্ধকতা গুলো মোটামুটি দূরীভূত করার প্রচেষ্টা রয়েছে সুপারিশমালাতে।
বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী আসন প্রবর্তন, বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন, বিচারিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সুপারিশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এ ভূমিকা রাখবে বলা যায়।
(জ): স্থায়ী এটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত পদক্ষেপ। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ ও দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা করা যায়।
(ঝ): সাংবিধানিক কমিশন :
দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি সাংবিধানিক কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ পাঁচটি কমিশনের সাথে ‘আন্ত: ধর্ম সম্প্রীতি কমিশন” গঠন এবং উক্ত কমিশনের অধীন “জাতীয় শরীয়া কাউন্সিল” যুক্ত করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে ধর্মের দূরত্ব এবং সংঘর্ষ এড়াতে, ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করে পারস্পরিক সোহার্দপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য এই কমিশন আবশ্যক মনে করি। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
বর্তমান সংবিধানের চেয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশকৃত সংবিধান অধিকতর টেকসই, প্রাসঙ্গিক ও আপ টু ডেট বলাই যায়।
তবে ভবিষ্যতে সংবিধানের সুপারিশ মালা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ও সার্বজনীন হবে এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দাবি করছে – সুপারিশকৃত সংবিধানের সংশোধনী চূড়ান্ত হওয়ার পর “গণভোটের” মাধ্যমে গৃহীত হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *