শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির আওতায় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭% শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, “আমাদের ওপর আরোপিত শুল্ক এবং আমাদের বাণিজ্যের ধরন ও গঠন বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরার জন্য।”
জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ অন্যান্য শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, “আমাদের আগ্রহ বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা করা হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান উল্লেখ করেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা আমাদের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংযোগ করতে বলেছিলেন। সেই সূত্রে আমি নিজে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আমেরিকান পররাষ্ট্র দপ্তর, ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভ, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
এই পরিস্থিতিতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।