প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস ইসিকে দিতে সম্মত ইউএনএইচসিআর

রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস ইসিকে দিতে সম্মত ইউএনএইচসিআর

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বায়োমেট্রিক তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর:

ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, সরকারের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর-এর সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের তথ্য শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি। এই তথ্য ইসির কাছে থাকবে এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণে একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রচেষ্টা ও প্রতিরোধ:

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। ইউএনএইচসিআর-এর ডেটাবেইস পাওয়া গেলে তাদের শনাক্ত করা সহজ হবে এবং এনআইডি জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। ইসির এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, রোহিঙ্গারা এখন শুধু চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়; তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে, তাই ডেটাবেইসটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

টেকনিক্যাল টিম ও ডেটা হস্তান্তর প্রক্রিয়া:

ইউএনএইচসিআর-এর পরামর্শ অনুযায়ী, ইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন এনআইডি উইংয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একজন সহকারী সচিব এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি থাকবেন এই টিমে। আগামী সপ্তাহে এই কারিগরি টিম বৈঠক করবে এবং ডেটা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে।

ডেটাবেইসের গুরুত্ব ও ব্যবহার:

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এই ডেটাবেইস ইসির কাছে থাকলে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও এনআইডি জালিয়াতি প্রতিরোধে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, পাসপোর্ট ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যেখানে এনআইডি ডেটাবেইসের সঠিকতা নিশ্চিত করা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের জন্য সুবিধাজনক হবে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

ডেটাবেইস হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে, কারণ পরস্পরকে বুঝতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে একাধিক বৈঠক প্রয়োজন। তবে, উভয় পক্ষই দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আগ্রহী, যাতে রোহিঙ্গাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায় এবং এনআইডি জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস ইসিকে দিতে সম্মত ইউএনএইচসিআর। ইউএনএইচসিআর-এর ডেটাবেইস ইসির কাছে হস্তান্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও এনআইডি জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করবে। এটি দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *