প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: মার্কিন জরিপ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: মার্কিন জরিপ

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে।

ভূমিকম্পের মাত্রা ও উৎপত্তি

USGS-এর তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে, এবং এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। মিয়ানমার ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছে।

মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মিয়ানমার ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, এবং আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। মার্কিন জরিপ সংস্থার মতে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ভবন ধসে পড়েছে, সেতু ভেঙে গেছে এবং রাস্তাঘাট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

ভূমিকম্পের পরবর্তী প্রভাব

এই ভূমিকম্পের ফলে শুধু মিয়ানমার নয়, আশেপাশের দেশগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব টের পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সহায়তা ও উদ্ধার কার্যক্রম

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: মার্কিন জরিপমিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।দেশটির সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণে বিলম্ব করছে বলে জানা গেছে। তবে জাতিসংঘ, রেড ক্রস, এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোও মানবিক সহায়তা ও উদ্ধার কর্মীদের পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয়, বাগো এবং ইয়াঙ্গুন শহর। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, হাসপাতালগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে, এবং খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

ভবিষ্যৎ সতর্কতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বসবাসকারীদের জন্য প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার এবং জরুরি উদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *