বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন মাত্রা
মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্কারোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
সম্প্রতি চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর ৮৪% শুল্কারোপ করে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই পদক্ষেপটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যের উপর ১০৪% শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য যুদ্ধের পটভূমি
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের উপর ১০% শুল্কারোপ করে, যা পরে বাড়িয়ে ২০% করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, চীন আমেরিকান কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫% এবং অপরিশোধিত তেল ও কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ১০% শুল্কারোপ করে। এই পাল্টা শুল্কারোপের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
সাম্প্রতিক শুল্কারোপ এবং প্রতিক্রিয়া
এপ্রিল ২০২৫-এ, ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপ বাড়িয়ে ১০৪% করে, যা চীন “অযৌক্তিক” বলে অভিহিত করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, চীন মার্কিন পণ্যের উপর শুল্কারোপ বাড়িয়ে ৮৪% করে এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অর্থনৈতিক প্রভাব
এই শুল্কারোপের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নিবিড় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল যেমন জাপানি ইয়েন এবং সুইস ফ্রাঙ্কের দিকে ঝুঁকেছে, যা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।
কৃষি খাতের উপর প্রভাব
মার্কিন কৃষকরা বিশেষভাবে এই শুল্কারোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চীন মার্কিন কৃষি পণ্যের উপর উচ্চ শুল্কারোপ আরোপ করায়, মার্কিন কৃষি রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে এবং কৃষকদের আয় কমে যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন কৃষকদের সহায়তা করার জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ বিবেচনা করছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।
ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা
মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্কারোপ করে চীনের পাল্টা জবাব । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধান দ্রুত না হলে, এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, দুই দেশের মধ্যে সংলাপ এবং সমঝোতা জরুরি হয়ে পড়েছে।