প্রথম বসন্ত

আজ  বুধবার ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  বুধবার ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

“মাওলা আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু): জ্ঞান ও বেলায়েতের প্রবেশদ্বার”

জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রবেশদ্বার মাওলা আলী (রাদ্বি.)
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লঅহ আল মাসুম
রাহমাতুল্লীল আলামীন নূরে মুজাচ্ছাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে নবুয়ত ও রেসালত রূপী হেদায়েতের স্বর্গীয় ধারা এবং উন্মোচিত হয় রহমতে বারীর বার্তা বাহক আউলিয়ায়ে কিরামের সূচিত হেদায়তের অমীয় প্রবাহ, যাদের মাধ্যমে যুগে যুগে দিশেহারা পথিক পেয়েছে সিরাতাল মুস্তাকীমের সন্ধান। আর এ মহান মনীষিদের সর্বাগ্রে রয়েছেন বেলায়তের সম্রাট হুযূর সৈয়্যদুনা আলী মর্তুজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। বস্তুত সাহাবায়ে কিরামগণের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) মধ্যে বেলায়েতের বৈশিষ্টের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও সকলেই ছিলেন হজরত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কামালিয়াত প্রাপ্ত । আর হযরত মাওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন শরীয়তের সূক্ষদর্শী, তত্ত্বজ্ঞানে পরিপক্ক¡ এবং ইলমে মারিফাত বা আধ্যাত্মিক শাস্ত্রে আলোকবর্তিকা স্বরূপ। আলোচ্য নিবন্ধে তাঁর ইলমী দক্ষতা, শান ও মহত্ব সর্ম্পকে আলোকপাত করার প্রয়াস পেলাম।
“মাওলা আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু): জ্ঞান ও বেলায়েতের প্রবেশদ্বার”। আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা আলীউল মুরতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি পবিত্র কাবাঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং মসজিদেই শাহাদাত বরণ করেন। তৎকালীন কোরায়েশ গোত্রে যে ১৭ জন শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন শীর্ষ স্থানীয়। অমিত বিক্রম যোদ্ধা এবং দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবীর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম অন্যতম। তাঁর উপনাম আবু তুরাব ও আবুল হাসান। পিতার নাম আবু তালিব এবং মায়ের নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ বিন হাশিম, যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, হিজরত করেছিলেন এবং মদীনায় ওফাত গ্রহণ করেন। জন্মের পর তাঁর সম্মানিত মাতার নিজের পিতার নামের সাথে মিলিয়ে তাঁর নাম “হায়দার” রাখেন, হুযুর তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম রাখেন আলী এবং তাঁর থুু মুবারক তাঁর মুখে ঢেলে দিলেন আর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিহ্বা মুবারক তাঁকে চুষার জন্য দিলেন তখন তিনি জিহ্বা মুবারক চুষতে চুষতে ঘুমের ঘোরে হারিয়ে গেলেন। হুযুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে “আসাদুল্লাহ” (আল্লাহর সিংহ) উপাধি দান করেন, এছাড়াও “মুরতাদ্বা (নির্বাচিত)”, “কাররার (বারবার আক্রমণকারী)”, “শেরে খোদা” এবং “মাওলা মুশকিল কোশা” তাঁর প্রসিদ্ধ উপাধি। তিসি মাত্র দশ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। তিনি বাল্যজীবন থেকেই রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও সযত্নে একজন সত্যিকার আদর্শবান ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে উঠে ছিলেন । তাঁর অসংখ্য বিশেষত্বের মধ্যে একটি বিশেষত্ব হলো; তিনি দু’জাহনের সরদার, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাত ভাই হওয়ার পাশাপাশি “আকদে মাওয়াখাত” (অর্থাৎ সেই চুক্তি যা নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসার ও মুহাজিরদের পরস্পর ভাই বানিয়েছিলেন) এর ভিত্তিতেও হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনা শরীফে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করছিলেন তখন হযরত আলীউল মুরতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাঁদতে কাঁদতে দরবারে রিসালতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি সকল সাহাবায়ে কিরামের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেছেন কিন্তু আমাকে কারো ভাই বানাননি, হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:(হে আলী)! তুমি দুনিয়াতেও আমার ভাই এবং আখিরাতেও আমার ভাই। তাঁর মর্যাদা প্রসঙ্গে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন,“যে ব্যক্তি নুহ আলাইহিস সালামের লক্ষ্যের দৃঢ়তা, আদম আলাইহিস সালামের জ্ঞানের গভীরতা, ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সহিষ্ণুতা, মুসা আলাইহিস সালামের বুদ্ধিমত্তা ও ঈসা আলাইহিস সালামের আত্মসংযম দেখতে চায় সে যেন আলীর (রাদ্বিল্লাহু তায়ালা আনহু) প্রতি লক্ষ্য করে। আমি হচ্ছি জ্ঞানের শহর। আর আলী (রাদ্বিয়াাল্লাহু তায়ালা আনহু) হচ্ছেন সে শহরের প্রবেশ দ্বার”। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি ” সমস্ত জ্ঞানকে দশ ভাগে ভাগ করে নয় ভাগ জ্ঞান একাই হযরত আলীকে দেওয়া হয়েছে এবং এক ভাগ জ্ঞান হতে সবার মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে এবং এই এক ভাগ জ্ঞান থেকেও আলী ভাগ পেয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭,/৩৫৯) অন্যত্র নবী করীম রউফুর রহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: “আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিচারক হলো আলী বিন আবু তালিব।” সায়্যিদুনা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু স্বয়ং বলেন: একবার হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামেনে বিচারক বানিয়ে প্রেরণ করলেন, তখন আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি আমাকে ইয়ামেন প্রেরণ করছেন, ইয়ামেন বাসীরা আমার নিকট মামলার ফয়সালার জন্য আসবে, অথচ আমার এই সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। হুযুরে আকরাম নূরে মুজাসসাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন: আমার নিকটে এসো। আমি কাছে আসলাম, অতঃপর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে হাত মারলেন এবং আমার জন্য দোয়া করলেন: হে আল্লাহ্! এর অন্তরকে আলোকিত করে দাও এবং তাঁর মুখে প্রভাব দান করো। (হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন) শপথ! সেই সত্বার, যিনি ছোট বীজ থেকে বড় গাছ সৃষ্টি করেন, সেই দোয়ার পর থেকে আমি উভয় পক্ষের মধ্যে ফয়সালা করতে কখনো সংশয় ও সন্দেহে পতিত হইনি।
ফারুকে আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর শাসনামলে আদালতের জজ হযরত সায়্যিদুনা কাযী শরীহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর নিকট একদা একটি আশ্চার্যজনক মামলা এলো, যার সমাধানের জন্য তিনি আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ফারুকে আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর দরবারে উপস্থিত হলেন। মামলার বিস্তারিত বিবরণ শুনে সায়্যিদুনা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও খুবই চিন্তিত হলেন। তিনি এর সমাধানের জন্য সাহাবায়ে কিরামদের রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমকে একত্রিত করলেন এবং তাঁদের সামনে তা পেশ করলেন আর বললেন: আপনারা পরামর্শ দেন যে, এ সম্পর্কে কি করা যায়? সাহাবায়ে কিরামগণ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আরয করলেন: জনাব! আপনিই তো আমাদের আশ্রয়স্থল, আপনিই তো রয়েছেন যার উপর আমরা নির্ভর করি। যাই হোক যখন এর কোন সমাধান হলো না তখন আমীরুল মু’মিনীন ফারুকে আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং কাযী শরীহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মামলা সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে হযরত সায়্যিদুনা মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর নিকট পৌঁছলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর আদেশে হযরত সায়্যিদুনা কাযী শরীহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত সায়্যিদুনা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট মামলার বিস্তারিত বর্ণনা করতে গিয়ে আরয করলেন: হুযুর! এই দু’জন মহিলা এক জন করে সন্তান প্রসব করেছে, একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে জন্ম দিয়েছে। কিন্তু দু’জনই ছেলে জন্ম দেয়ার দাবী করছে, মেয়েকে কেউ গ্রহণ করছে না। একথা শুনে মাওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একটি খড়কুটা উঠিয়ে নিলেন এবং বললেন: এই মামলার বিচার তো এই খড়কুটা উঠানোর চেয়েও অধিক সহজ। অতঃপর তিনি সেই দু’জন মহিলাকে আদেশ দিলেন যে, তোমরা দু’জন নিজের স্তনের দুধ দু’টি আলাদা আলাদা পাত্রে ঢেলে নিয়ে এসো। তারা উভয়ে আলাদা আলাদা পাত্রে নিজ নিজ দুধ নিয়ে আসলো এবং তা যখন ওজন করা হলো তখন একজনের দুধ অপরজনের দুধ থেকে দিগুণ হলো। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সমাধান দিতে গিয়ে বলেন: কন্যা সন্তান তার যার দুধ কম এবং পুত্র সন্তান তার যার দুধ বেশি। অতঃপর মাওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত সায়্যিদুনা কাযী শরীহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললেন: তুমি কি জানো না যে মেয়ের দুধ ছেলের অর্ধেক হয়ে থাকে, কন্যার পৈত্রিক সম্পত্তি পুত্রের পৈত্রিক সম্পত্তির অর্ধেক হয়ে থাকে, কন্যার জ্ঞান পুত্রের জ্ঞানের অর্ধেক হয়ে থাকে, মেয়ের সাক্ষ্য ছেলের সাক্ষ্যের অর্ধেক হয়ে থাকে বরং মেয়ে সব বিষয়ে ছেলের অর্ধেক হয়ে থাকে। এই ফয়সালা শুনে আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খুবই আশ্চার্য হলেন এবং প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন: হে আবুল হাসান! আল্লাহ্ তাআলা আমাকে এমন কোন বিপদে বা এমন কোন শহরে একা না ছাড়ুক, যেখানে আপনি আমার সাথে থাকবেন না।
কুখ্যাত খারেজী গুপ্তঘাতক আবদুর রহমান ইবনে মুলজাম পবিত্র রমজান মাসে কুফার মসজিদে নামাজরত অবস্থায় তাঁকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কয়েকদিন পর তিনি মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে চিরতরে জান্নাতবাসী হন। এভাবে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার ওফাতের ৩০ বছর পর চল্লিশ হিজরীতে ৬৩ বছর বয়সে ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু শহীদ হন ।পরিসমাপ্তি ঘটে খোলাফায়ে রাশিদিনের শাসনের গৌরবময় অধ্যায়ের। বর্তমান ইরাকের কুফা নগরীর অদুরে নাজাফ আশরাফ নামক স্থানে তাঁর পবিত্র দেহ সমাহিত করা হয়।
প্রিয় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে মহব্বত করা প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন: যে আলীকে ভালবাসলো, সে আমাকে ভালবাসলো এবং যে আমাকে ভালবাসলো, সে আল্লাহ্ তায়ালাকে ভালবাসলো, যে আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করলো, সে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করলো এবং যে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করলো, সে আল্লাহ্ তাআলার সাথে শত্রুতা পোষণ করলো। অন্যত্র ইরশাদ করেন: যে আলীকে মন্দ বললো, তবে আসলে সে আমাকেই মন্দ বললো। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে মহব্বত করার এবং তাঁর পদাংক অনুসরণ করার তওফিক দান করুন। আমীন! বিজাহিন নবিয়্যিল আমীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তথ্য :
– আস সিরাতুল হালবিয়া, ১/ ৩৮২
– মিরাতলু মানাজিহ, ৮/৪১২
– ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৮/৪৬৪
– সুনানে তিরমিযী
– ইমাম হাকেম, আল মুস্তাদরাক
– সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৪
– আসাদুল গা’বা, আলী বিন আবু তালিব,
ইলমুহু , ৪/১০৮
– কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৪৫০৪
-মু’জামুল কবীর, আবু তুফাইল আন উম্মে সালামা, হাদীস-৯০১
-সুনানে কুবরা, কিতাবুল ,খাছাইছ, হাদীস-৮৪৭৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *