ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির জন্য তাদের স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা এই পরিবর্তনকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না এবং তারা বিকল্প পথ ও কৌশল নিয়ে কাজ করছেন।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা বোধ করছি না
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পটভূমি
২০২০ সালে ভারত বাংলাদেশকে তাদের স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দেয়। এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে পণ্য প্রেরণ করতে পারতেন। তবে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত এই সুবিধা বাতিল করে। ভারতের কাস্টমস বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ এই প্রক্রিয়ায় “দেরি এবং উচ্চতর খরচ” ভারতের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং ব্যাকলগ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা ভারতের এই সিদ্ধান্তকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য বিকল্প পথ এবং কৌশল রয়েছে, যা ব্যবহার করে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব।
বিকল্প রপ্তানি পথ ও কৌশল
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা নিম্নলিখিত বিকল্প পথ ও কৌশল বিবেচনা করতে পারেন:
-
সরাসরি শিপিং রুট: চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে সরাসরি গন্তব্য দেশে পণ্য প্রেরণ করা।
-
আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করে বিকল্প বাজার সৃষ্টি করা।
-
অবকাঠামো উন্নয়ন: নিজস্ব বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা উন্নত করে রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করা।
-
বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা: বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা বোধ করছি না। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করলেও, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা এই পরিবর্তনকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না। তারা বিকল্প পথ ও কৌশল নিয়ে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে নিজেদের অবকাঠামো ও বাণিজ্য নীতি পুনর্মূল্যায়ন করে আরও শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তি স্থাপনের।