বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
আগামী বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঢাকা সফরে আসছেন। এই সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
সফরের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি
মহাসচিবের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, যেখানে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
এছাড়াও, মহাসচিব ঢাকায় জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি একটি বিশেষ সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গা সংকট ও জাতিসংঘের ভূমিকা
বাংলাদেশ বর্তমানে মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এই সংকট সমাধানে জাতিসংঘের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাসচিবের এই সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তাদের মানবাধিকার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে পারেন এবং সেখানে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের উদ্যোগ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। মহাসচিবের এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ, যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, এবং উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। জাতিসংঘের সহায়তায় এই উদ্যোগগুলো আরও বেগবান হতে পারে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও বাংলাদেশের অর্জন
বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। মহাসচিবের এই সফরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। জাতিসংঘের সহায়তায় এই ক্ষেত্রগুলোতে আরও উন্নতি সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি
মহাসচিবের সফর উপলক্ষে ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে তার অবস্থানস্থল পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো মহাসচিবের সফর সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা
মহাসচিবের এই সফর গণমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, এবং অনলাইন মিডিয়া এই সফর সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই সফর নিয়ে আলোচনা চলছে।
সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মহাসচিবের এই সফরকে স্বাগত জানাচ্ছে। তারা আশা করছেন, এই সফরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।