বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট গঠিত: নেতৃত্বে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট গঠিত: নেতৃত্বে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা

বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজে একটি নতুন গতির সঞ্চার ঘটেছে। ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় গঠিত হলো বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট। এই কমিটিতে আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু নাছের তালুকদার এবং সদস্য সচিব হিসেবে

দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট গঠিত: নেতৃত্বে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা

এই ঘোষণার পর থেকে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের জেলা গুলোতে আইন পেশার মধ্যে নতুন আশাবাদী বার্তা পৌঁছে গেছে। নবগঠিত এই ইউনিটের লক্ষ্য, জেলার আইনজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বর এবং পেশাগত মান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা।

ইউনিট গঠনের প্রেক্ষাপট

চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনজীবীদের সংগঠিত এবং দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ উপলব্ধি থেকেই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আইন সচিব অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা একত্রিত হয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের, যাদের নেতৃত্বে আগামী ৬ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে।

নেতৃত্বে অভিজ্ঞতা ও গুণ

নবনিযুক্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু নাছের তালুকদার একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ আইনজীবী, যার আইন পেশায় রয়েছে দীর্ঘ সময়ের অবদান। অন্যদিকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম একজন উদ্যমী ও সৃজনশীল চিন্তাবিদ, যিনি পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অঙ্গীকারবদ্ধ।

এই দুই নেতার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট একটি যুগোপযোগী, গতিশীল ও সংগঠিত প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে বলে আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

ইউনিটের প্রাথমিক কার্যক্রম ও পরিকল্পনা

নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে কিছু অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—

• জেলার সকল থানা ও ইউনিট পর্যায়ে উপকমিটি গঠন

• তরুণ আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি

• মানবাধিকার সংক্রান্ত সচেতনতামূলক সেমিনার ও কর্মশালা

• আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ

• পেশাগত নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা

• নারী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে উৎসাহ প্রদান

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমাজের প্রতিক্রিয়া

এই ইউনিট গঠনের পরপরই চট্টগ্রামের সিনিয়র ও জুনিয়র উভয় ধরনের আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। কেউ কেউ লিখেছেন— “এমন একটি নেতৃত্ব বহুদিন পর পেলাম” আবার কেউ বলেছেন— “আশা করি এই ইউনিট বাস্তবিক অর্থে আইন পেশার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে”।

এছাড়াও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও চট্টগ্রাম ইউনিটকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতের কাজের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব হবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন, নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

ইউনিটের নেতারা আশাবাদী যে, তারা রাজনীতি নিরপেক্ষ থেকে শুধুমাত্র পেশাগত উন্নয়ন ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবেন।

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা বার ইউনিট গঠিত হওয়ার মাধ্যমে আইনজীবী সমাজে নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এ ইউনিট কেবল নেতৃত্বের দিক থেকেই নয়, কার্যক্রম, অঙ্গীকার ও পেশাগত প্রতিশ্রুতির দিক থেকেও এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে বলে সবাই আশাবাদী।

চট্টগ্রামের আইনজীবী সমাজ এবং সাধারণ মানুষ এই ইউনিটের কাছে প্রত্যাশা করছেন একটি কার্যকর, নৈতিক এবং সময়োপযোগী ভূমিকা।