বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে সংরক্ষিত লকারগুলোর অর্থ ও সম্পদ সাময়িকভাবে স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, কেউ যাতে লকার খুলে কোনো সম্পদ বা নথিপত্র সরিয়ে নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি, দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২৬ জানুয়ারি, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে সংরক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় তিনটি সিলগালা করা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১ কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।
দুদকের চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্ত চলাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ব্যাংকের আরও কিছু কর্মকর্তা তাদের লকারে সিলগালা করা অবস্থায় সম্পদ রেখেছেন। দুদক মনে করছে, এই সিলগালা করা কৌটাগুলোতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তদন্ত চলমান রয়েছে, যা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে, দুর্নীতি দমন কমিশন সংশ্লিষ্ট লকারগুলোর অর্থ ও সম্পদ সাময়িকভাবে স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
চিঠিতে আরও জানানো হয় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার আলোচনা হয়। আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে স্থগিত (ফ্রিজ) করার বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেছেন।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে ধারণা করছে দুদক।