প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফর বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ২৬ মার্চ চীন সফরে যাবেন এবং ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সফরের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব

এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। প্রধান উপদেষ্টা চীনের বিভিন্ন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করবেন, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্য খাতের মান উন্নয়নের জন্য চীনের সঙ্গে যৌথভাবে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা হবে। চীন বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন চীনের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে যৌথভাবে হাসপাতাল স্থাপন করুক।

চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলতে চান। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওয়াং ই বলেন, চীন বাংলাদেশে সোলার প্যানেল স্থাপনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এবং দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য বেইজিং কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে।

সফরের সম্ভাব্য ফলাফল

এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। স্বাস্থ্য খাতের মান উন্নয়ন এবং যৌথ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেশের জনগণের জন্য উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে। এছাড়াও, চীনের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ বাংলাদেশের পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সাধারণ জনগণও এই সফর থেকে ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা করছেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *