প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি ,১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২৫২ কোটি ডলার: বৈদেশিক আয়ের নতুন রেকর্ড

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২৫২ কোটি ডলার: বৈদেশিক আয়ের নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে, এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫২ কোটি মার্কিন ডলার। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক খবর, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে।

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২৫২ কোটি ডলার: বৈদেশিক আয়ের নতুন রেকর্ড

 

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২৫২ কোটি ডলার: বৈদেশিক আয়ের নতুন রেকর্ড

রেমিট্যান্স প্রবাহ ও এর প্রভাব

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। ফেব্রুয়ারিতে এই বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার ফলে টাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন নীতি এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের সহজলভ্যতার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে?

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পেছনে কিছু প্রধান কারণ রয়েছে:

  • আইনগত ব্যাংকিং চ্যানেলের উন্নতি: হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ ব্যাংকিং মাধ্যমে অর্থ পাঠানো বাড়ছে।
  • সরকারি প্রণোদনা: বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ২.৫% নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে, যা উৎসাহ জোগাচ্ছে।
  • বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা: বৈশ্বিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হওয়ায় প্রবাসীদের আয় বাড়ছে।

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুবিধা

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হলে আমদানি ব্যয় মেটানো সহজ হয়।
  • টাকার মান স্থিতিশীল রাখা: ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা সম্ভব হয়।
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: রেমিট্যান্স গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়তে পারে যদি:

  • প্রবাসীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি আরও আস্থা বাড়ানো যায়
  • প্রণোদনা বাড়ানো হয়
  • ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজলভ্য করা হয়

ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। সঠিক নীতি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব। প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *