প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করেছে। শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ তারিখে, জুমার নামাজ শেষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মসজিদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। বক্তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, “ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

একই দিনে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির মিরসরাই পৌর সদরের থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইউটার্ন হয়ে উপজেলা রোডের সামনে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তারা বলেন, “ফিলিস্তিন দখল করতে ইসরায়েল যেভাবে দিনের পর দিন নগ্ন হামলা চালাচ্ছে; এটি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। মুসলিম বিশ্ব আজ চুপ কেন? ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের ওপর এমন নৃশংস গণহত্যা, বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করতে হবে।”

চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “গাজায় মানুষ একা দাঁড়িয়ে আছে। তারা পৃথিবীর সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মুখোমুখি হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং যুদ্ধবিরতির নামে প্রহসন তৈরি করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলো প্রহসনমূলক অবস্থান নিয়েছে। এই গণহত্যা থামাতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে। তাহলে ফিলিস্তিনিরা কি এভাবেই প্রাণ হারাবে?”

বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান। তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। বক্তারা মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

এছাড়াও, হাটহাজারী উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে পৌরসভা ডাকবাংলো চত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “রমজানের ১৮ তারিখে সেহরির সময় ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমা হামলা চালিয়ে শত শত মুসলমানকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে এর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এখন সময় এসেছে সকল মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। ইসরায়েলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে হলে মুসলমানদের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

চট্টগ্রামের এই বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের প্রতিফলন। বক্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তির জন্য কাজ করার তাগিদ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *