প্রথম বসন্ত

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

“ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি: ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ভূমিকা”

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা

“ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি: ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ভূমিকা”

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং অংশগ্রহণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কর্মসূচির পটভূমি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার ফলে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। এই মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ জানাতে ফিলিস্তিনি যুবকরা ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত এবং অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রেখে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশে কর্মসূচির প্রতিফলন

“ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি: ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ভূমিকাবাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণ এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা ফিলিস্তিনের যুবকদের ডাকা ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং আগামীকাল সারা দেশে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি এবং বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (মিস্ট) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবে।

রাজনৈতিক সংগঠনের ভূমিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘গাজাবাসীর আহ্বানে ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচিতে কোনো দলের নামে নয় বরং ‘বাংলাদেশ’ ব্যানারে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ

সাধারণ জনগণকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে ক্লাস, কাজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

কীভাবে অংশগ্রহণ করবেন

  • ক্লাস ও কাজ থেকে বিরত থাকুন: ৭ এপ্রিল দিনব্যাপী আপনার কাজ ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন।

  • বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিন: আপনার নিকটস্থ স্থানে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করুন।

  • সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধি করুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় #NoWorkNoSchool, #FreePalestine, #StopGazaGenocide হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করুন এবং অন্যদের সচেতন করুন।

সতর্কতা

  • শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করুন: কোনো ধরনের সহিংসতা বা উসকানিতে জড়াবেন না।

  • আইনশৃঙ্খলা মেনে চলুন: স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলুন এবং অনুমতি নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণ করুন।

  • সুরক্ষা বজায় রাখুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে মানবতার পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আন্দোলন সফল হোক এবং ফিলিস্তিনের জনগণ ন্যায়বিচার পাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *