প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি ,৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

ফাইনালসেরা রোহিত, সিরিজসেরা রাচিন রাবিন্দ্রা

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ফাইনালসেরা এবং নিউজিল্যান্ডের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রাচিন রাবিন্দ্রা সিরিজসেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।ফাইনালে রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স:

ফাইনালসেরা রোহিত, সিরিজসেরা রাচিন রাবিন্দ্রা

ফাইনালসেরা রোহিত, সিরিজসেরা রাচিন রাবিন্দ্রা

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা ৮৩ বলে ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল, যা ভারতের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করে। রোহিতের এই পারফরম্যান্সের জন্য তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।

ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘এটি সত্যিই দারুণ অনুভূতি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়াটা অসাধারণ।’

রাচিন রাবিন্দ্রার সিরিজ পারফরম্যান্স:

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রাচিন রাবিন্দ্রা পুরো সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন। ৪ ইনিংসে ব্যাট করে তিনি ২৬৩ রান সংগ্রহ করেন, গড় ৬৫.৭৫ এবং স্ট্রাইকরেট ১০৬.৪৭। তার এই পারফরম্যান্সের জন্য তাকে সিরিজসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণের সময় রাচিন বলেন, ‘এটি অম্ল-মধুর অনুভূতি। একটি দুর্দান্ত ফাইনাল ছিল। ব্যক্তিগত স্বীকৃতি দারুণ, আর দলের হয়ে খেলা সবসময়ই আনন্দের।’

ফাইনাল ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫১ রান সংগ্রহ করে। দারিল মিচেল ১০১ বলে ৬৩ রান করেন, আর মাইকেল ব্রেসওয়েল অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ভারতের পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী ২টি উইকেট নেন।

জবাবে, ভারতের ওপেনিং জুটি ১০৫ রান তোলে। শুভমান গিল ৩১ রান করে আউট হন। রোহিতের আউটের পর শ্রেয়াস আইয়ার (৪৮) এবং অক্ষর প্যাটেল (২৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শেষ পর্যন্ত লোকেশ রাহুল (৩৪*) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৬*) মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে

রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর শিরোপা জিতে নেয়। তার ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং রাচিন রাবিন্দ্রার পুরো সিরিজে ধারাবাহিক ভালো খেলা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে