পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে ২৬,২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি মরিয়ম জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
এর আগে, প্রথম ধাপে ৫ মার্চ পাকিস্তানি পতাকাবাহী এমভি সিবি জাহাজে ২৬,২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে মোট ৫২,৫০০ মেট্রিক টন আতপ চাল পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) এবং বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তরের মধ্যে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৯৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০৪.৩৯ কোটি টাকা।
চাল আমদানির এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করা এবং বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখা। এতে করে সাধারণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং বাজারে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন চাল খালাস করা সম্ভব, যা পুরো চালান খালাস করতে প্রায় আট দিন সময় লাগবে।
সরকারি পর্যায়ে পাকিস্তান থেকে এই চাল আমদানি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চালের এই আমদানির ফলে দেশের খাদ্য মজুত বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। এটি দেশের সাধারণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।